শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫,
১৪ আষাঢ় ১৪৩২
বাংলা English

শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
শিরোনাম: টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত      উদ্বেগ বাড়ছে রোহিঙ্গা পুশইনে      ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ      যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা      ফের আলোচনায় স্থানীয় নির্বাচন       ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত : ডা. শফিকুর রহমান       সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত সম্ভব : ড. ইউনূস      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ফের আলোচনায় স্থানীয় নির্বাচন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৯:০৭ এএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

জাতীয় নির্বাচন আগে, নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন- এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি করা হচ্ছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 

গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরীর কুদরত উল্লাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে নুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত অর্থসহ আমপারা মুখস্থ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। প্রথমত, দেশে এখন ‘হিউজ পাবলিক সাফারিং’ চলছে। ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া স্থানীয় সরকারের কোনো স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। অনেক ইউপি প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে স্থানীয় প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ তৈরি হবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের স্থবিরতা কাটিয়ে তোলার জন্য শুধু সরকারের নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’

অন্যদিকে প্রশাসনের ফিটনেস ও নিরপেক্ষতা প্রমাণে সব না হোক, স্থানীয় সরকারের অন্তত সিটি করপোরেশন, উপজেলা বা পৌরসভার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত বলে মনে করছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। 

এদিকে জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের এমন বক্তব্যের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় নির্বাচনের জন্যই এতদিনের সংগ্রাম, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য না। ইসির প্রধান কাজ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে সব দলই একমত। যদি তাই হয়, তবে এই ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন করা অসম্ভব।’ গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক নিয়েও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিএনপির ধারণা প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বিএনপি মনে করছে নির্বাচনসংক্রান্ত প্রস্তুতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নেওয়া সম্ভব। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা হয়তো তার মেসেজ সিইসিকে জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে। এটি আমাদের ধারণা। উভয়পক্ষ থেকে বার্তা এলে সেটি স্পষ্ট হবে।’

এর আগে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয়, তাহলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।’ গত বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নেতা এ কথা বলেন। 

হামিদুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে দলীয় প্রার্থীদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মেয়র বানাতে দলীয় প্রভাব কাজে লাগানো হয়। জনমতের প্রতিফলন হয় না। যেটি আমরা অতীতেও দেখেছি। এ জন্য আমরা বারবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি।’

জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার যেই ফরম্যাটেই হোক না কেন, নির্বাচনের আগে একটি সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। সব দল এ বিষয়ে একমত হয়েছে। এ জন্য আমরা বলেছি, সেই সরকারের অধীনে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে এটা অনেক বেশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। সেখানে জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্বটা আসবে।’

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, প্রশাসনের ফিটনেস ও নিরপেক্ষতা প্রমাণে, সব না হোক, স্থানীয় সরকারের অন্তত সিটি করপোরেশন, উপজেলা বা পৌরসভার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নুর বলেন, এ সরকার আগের মতো দিনের ভোট রাতে করে কিনা- স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে তারও প্রমাণ পাওয়া যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও বর্তমান প্রশাসন একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তারা ভাবছে, ও দলই আগামীতে ক্ষমতায় আসছে। ফলে পদ-পদবির আশায় আগেভাগে তাদের তোষামোদ করা শুরু করে দিয়েছে।

সেই দলের নেতারা কোথাও গেলে তাদের ভিআইপি প্রটোকল দেওয়া হয়- অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, কোনো বিশেষ দলকে মাথায় তোলার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সুরক্ষা কার্যক্রমে সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে একটি প্রধান রাজনৈতিক দল ছাড়া সব দলই একমত। প্রার্থী সবল বা দুর্বল হোক, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণ অধিকার পরিষদ। নুর বলেন, গণহারের বিচার ও সংস্কার শেষে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। পেশিশক্তি ও কোনো বিশেষ দলের প্রভাব দূর করতে বর্তমান সরকারের ভূমিকা থাকতে হবে।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বিনা পারিশ্রমিকে কবর খোঁড়া মনু মিয়া মারা গেছেন
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা চেয়েছে: ইরানি সাবেক বিচারক
জাবিতে সিনেট অধিবেশন আওয়ামী দোসরমুক্ত করতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
উদ্বেগ বাড়ছে রোহিঙ্গা পুশইনে

সর্বাধিক পঠিত

ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির মূলহোতা আমান উল্লাহ চৌধুরী গ্রেফতার
নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার ২
ঢোলভাঙ্গা নদী খুব দ্রুত খনন করা হবে : ফেরদৌস আরা
নিয়ামতপুরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা
ছাত্রদের নয় আমাকে গ্রেফতার করুন : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close