সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ৯:৪৮ এএম আপডেট: ২৯.০৫.২০২৫ ১০:০৩ এএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। এ জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও যুব সমাজকে প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট হয় এমন কোনো পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ঠিক হবে না। গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আপনাদের কেউ নির্বাচন করতে চাইলে সরকার থেকে বের হয়ে এসে নির্বাচন করুন। তিনি বলেন, এখানে যে তরুণ সমাজ উপস্থিত তারা, দেশে নতুন ভোটাররা আজ পর্যন্ত একটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পায়নি। অতীতে পলাতক সরকারের কাছেও নির্বাচন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যমান কিছু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। 

তারেক রহমান বলেন, অতীতে দেখেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করেছে। আমরা দেখছি ১০ মাস পার হয়ে গেলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি সরকার দেখতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে, আবারো বলছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, যে কোনো দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার নির্বাচিত সরকার। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। অল্প ও বেশি সংস্কারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে এ আলোচনা। তারেক রহমান বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে স্লোগান তোললেন, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ’।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের ধারাবাহিক এ কর্মসূচি ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। নয়া পল্টনের সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। 

এ সরকারের মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এরা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। এ সরকার গণমানুষের আকাক্সক্ষা ও আস্থার সরকার ছিল উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে এ সরকার থেকে কিছুই পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।’ মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এ নিয়ে লাভ-লোকসান দেখার দরকার নাই। আমরা যেমন ছিলাম, তেমন থাকতে চাই।’ এ সরকার একটি উপনিবেশিক সরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সরকারে যারা আছেন, তাদের বেশিরভাগই দেশের নাগরিক নন।

নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার বলছে সংস্কার করে নির্বাচন দেবে। কিন্তু গত নয় মাসে সরকার কিছুই করতে পারেনি। তারা আগামী নয় বছরেও কিছু করতে পারবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচন বিলম্বের যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, সরকার ওয়াদা দিয়েছিল, অতিদ্রুত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু ১০ মাসেও তারা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়নি। অনেকে নির্বাচন বিলম্ব করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। 

সংস্কারের কথা বিএনপির আগে কেউ বলেনি উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ৭ বছর আগে ভিশন-২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। 

সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন বলা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে নাকি ঐকমত্য হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে। বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেই দায়িত্ব বিএনপি পালন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কারণ, আমাদের মতো এত কঠিন সময় কেউ পার করেনি। আমাদের মতো এত ত্যাগ কেউ করেনি। ৫ আগস্ট না হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা আছেন, তাদের অনেকেই বিদেশে থাকতেন। আর আমাদের হয় জেলে, না হয় ফাঁসির কাষ্ঠে থাকতে হতো। সুতরাং বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটা বিএনপি করবে, তোমাদের ওপর কোনো ভরসা নাই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ আমরা বারবার করতে পারব।’ সরকার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পাঠের ব্যবস্থা করবে এবং দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তা না হলে গণতন্ত্রের দাবিতে, নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে সেটি দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আইনের শাসন হুমকির মুখে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আদালতের রায় কার্যকর করা হয় না। সেই পরিস্থিতিতে আহ্বান জানাব, সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তির মধ্যে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি। বাংলাদেশে যাতে আবার কোনো স্বৈরাচারের উৎপাদন না হয়। আমরা তেমন সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাই, যেখানে আর কোনো দিন স্বৈরাচারের উত্থান হবে না।’ সমাবেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা লক্ষ করছি। অত্যন্ত সুকৌশলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। আমরা ফ্যাসিবাদী আমলের লুটপাট, গুম, খুনের কথা ভুলতে বসেছি।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কখনো আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বোঝেনি, স্বৈরাচার কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছি, তারা নাকি কোনো কোনো দেশের এজেন্ট হয়ে গেছি। এগুলো কারা করছে, সেটি আমরা বুঝতে পারি। এ দেশে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে চায়।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ তারুণ্যের সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আপনার (তারেক রহমান) নেতৃত্বে বাংলাদেশের তরুণরা জেগে উঠেছে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আমাদের দেশকে ধ্বংস করেছিল। দেশের তরুণ ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের প্রথম বিজয় হয়েছে। আমাদের আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি। আমরা বিজয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি। 

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে রূপ দিতে হবে। অবিলম্বে দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। জনগণ চায় গণতন্ত্র। আমরা সরকারকে সেজন্য সহযোগিতা করেছি। সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। না হলে বিক্ষুব্ধ তরুণ সমাজের আন্দোলনে কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার পালাতে পারবে না।

এর আগে সমাবেশের স্বাগত বক্তব্যে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব শিবির ও গুপ্ত হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন, ছাত্রদলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমাদের যদি ধৈর্যের বাঁধ খুলে যায়, তাহলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না। তিনি বলেন, সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের সহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বক্তব্যের মাধ্যমে বলেছেন সাম্য হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। সাম্যর পরিবার ও বিএনপি এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলাম। সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

তিনি বলেন, সর্বশেষ ঢাকা শহরে আমরা আমাদের দুজন ভাইকে হারিয়েছি। তারা দুজনকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। তিতুমীর কলেজে গুপ্ত সংগঠনের ৮ থেকে ১০ জন মিলে প্রিন্সিপালের রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কুয়েটের ছাত্রদলের ওপর হামলা করা হয়েছে হত্যার উদ্দেশ্যে। গতকাল দেখেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ধারার সংগঠনের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ছাত্রদলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমাদের যদি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না। 

ছাত্রদল সভাপতি আরো বলেন, যদি সামনে তার বিচার না পাই এবং ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিবিরের হামলা এবং গুপ্ত রাজনীতির নামে অপরাধ চলমান থাকে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরের ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মী খুন এবং গুম হয়েছে তাদের যদি বিচার করা না হয় এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের যদি বিচার করা না হয় প্রয়োজনে এই নির্দলীয় ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।

গতকাল বেলা দুইটার কিছু আগে শুরু হয় ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশের আয়োজক। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ সমাবেশ। সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে জড়ো হন।

সরেজমিন দেখা যায়, সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের দিকে আসেন নেতা-কর্মীরা। তারা সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের ক্যাপ ও টি-শার্ট পরে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা পল্টনে মহাজনসমুদ্র দেখছি, একটি আকাক্সক্ষাকে কেন্দ্র করে। সেই একটি আকাক্সক্ষা হলো, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ভোটের অধিকার, এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা, সেটি বাস্তবায়ন করব। এর মাধ্যমে আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’

তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সর্বশেষ আয়োজন রাজধানী ঢাকায়।

কেকে/এআর
আরও সংবাদ   বিষয়:  বিএনপি   তারেক রহমান  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close