অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারও বলেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। তবে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি করছে। দলটি বলছে, নির্বাচন পেছালে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। তারা সরকারের কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে।
গতকাল বুধবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছে। সাত সদস্যের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদকিদের জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তারা একেবারেই সন্তুষ্ট নন।
গতকাল দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন তাদের দেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বর মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তাকে জানিয়েছি। যার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আমরা বলেছি যে বর্তমানে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে আমরা বিশ্বাস করি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একইসঙ্গে চলমান যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, তাতে আমরা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। কয়েক দিন আগে সংস্কারে আমাদের যে মতামতগুলো তা আমরা দিয়েছি এবং বুধবার আমাদের সঙ্গে (ঐকমত্য কমিশনের) বৈঠক আছে। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, যে বিষয়গুলোতে সব দল ঐকমত্য হবে, আমরা সেগুলোর চার্টার (সনদ) করতে রাজি আছি এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি যে সংস্কার, সেগুলো আমদের যে রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী রমজানের আগেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় জামায়াত। গতকাল মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিন দুপুরে গুলশানে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডা. শফিকুর রহমান। ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া প্রতিশ্রুতির পর্যবেক্ষণ করছে তার দল। আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দেখতে চান তারা। জামায়াতে ইসলামী একইসঙ্গে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের বিচারও দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।
তবে নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির হয়ে কাজ করছে। গতকাল বিকালে ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান মাঠ প্রশাসনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু প্রশাসন সেসব জায়গায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, অনেক এলাকায় প্রশাসন বিএনপির পক্ষ নিচ্ছে। এমনকি যেখানে চাঁদাবাজি চলছে, সেখানেও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া নেই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন, আমলাতন্ত্র এবং পুলিশকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছি, সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। আমাদের তিনটি মূল দাবি- সংস্কার, বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচন। আমরা কেবল ন্যূনতম পরিবর্তন নয়, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের পক্ষে। এসব পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সে ধরনের নির্বাচনে এনসিপি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটি তখন বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
তবে সরকার বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলেও জনান তিনি। আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কালবিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এ সময়র মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে।
বৈঠক নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে ওনাদের (বিএনপির প্রতিনিধি দল) হ্যাপি মনে হয়েছে। ওনারা অনেক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং তাদের সন্তুষ্ট মনে হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, তফশিল ঘোষণার আগে যেসব তরুণদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বিদ্যমান আইন দিয়ে হবে না। এজন্য আইন পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হবে।
দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিয়ে নির্বাচন সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল বলেন, আমি বেশকিছু জেলায় ভিজিট করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছে, তারা আরো ইম্প্রুভ করবে। আইনশৃঙ্খলা প্রতিদিন উন্নত হচ্ছে। আপনারা দেখে থাকবেন, আগের তুলনায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্টু নির্বাচনের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিশুদ্ধ ভোটার তালিকা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ ঘরে ঘরে গিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সন্তুষ্ট। ইসি আরো বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল ৬১ লাখ ৮৮ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধিত হবে। দেখা যাচ্ছে, ৪৩ লাখের ওপরে বাদ পড়া ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। নতুন হয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। মোট ৬৩ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আমরা আশা করি জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাব।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিএনপির লিখিত পরামর্শ ও মতামত : গতকাল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন ও করণীয় বিষয়ে মতামত এবং পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। লিখিত মতামতে দলটি জানিয়েছে, আমরা আপনাকে সমর্থন জানিয়েছি এবং আপনার ওপরই আস্থা রাখতে চাই। দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পিত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তা পালন করবেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
বিএনপি জানায়, আপনার ও আপনার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রায় দেড়যুগ ধরে গণতান্ত্রিক অধিকারহীন জনগণের স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের দলীয় সরকার ও তার দোসরদের আইনের আওতায় এনে তাদের গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, দুর্নীতি-অনাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার ও পাচার অর্থ পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নিহত ও আহদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পতিত সরকারের সব অপচক্র ও সিন্ডিকেট ধ্বংস করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। যাতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি, উন্নত অর্থনীতি এবং জনগণের মানবিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে।
বিএনপি মনে করে যে, জনগণের স্বার্থরক্ষা ও স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনের বিকল্প নেই। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংস্কার একটি সদা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া। বিগত ফ্যাসিবাদী পতিত সরকারের মতো ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপকৌশল ছিল, এখনো কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’ তেমনি ভ্রান্ত কূটতর্ক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন, নীতি, বিধানের সংস্কার অপরিহার্য। এর সব পরস্পরের পরিপূরক, কোনোটাই কোনোটার বিকল্প নয়, পরস্পর সাংঘর্ষিকও নয়।
লিখিত পরামর্শে বিএনপি জানায়, আজ যারা সংস্কারের কথা বেশি বেশি বলে এবং বিএনপিকে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে- তাদের ভিশন-২০৩০ এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে ও যেসব পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিএনপি আরো জানায়, আমরা আগেও বলেছি এবং এখনো বলতে চাই যে, দেশের জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পিত হয়েছে- যত দ্রুত সম্ভব আপনি তা পালন করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব আইন, বিধি, বিধান সংস্কারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব পরিবর্তন জরুরি তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
এ ব্যাপারে এর আগে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রদত্ত আপনারই আশ্বাস অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার এবং নির্বাচনি এলাকা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসনেরও প্রস্তাব করছি। লিখিত মতামত ও পরামর্শে বিএনপি জানায়, আমরা আপনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সব ইতিবাচক কর্মপ্রয়াস সমর্থন অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট সব বিভ্রান্তি অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।
কেকে/এআর