সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
খোলাকাগজ স্পেশাল
পদ নিয়ে বিভাজনে নেতারা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৪ এএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলে শুরুতেই বিভাজিত ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শীর্ষ পদ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্দরে চলছে অনাস্থার সুর। 

আহ্বায়ক পদ নিয়ে কোনো মতানৈক্য না থাকলেও সদস্যসচিব পদের দাবিদার একাধিক ব্যক্তি। যারা সবাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে হতাশ নেতাকর্মীরা। তারা মনে করছেন, শুরুতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সংগঠন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। যা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অন্তরায় হবে। 

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। শুরুতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে অহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক নম্বর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে নাহিদ উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। 

নাহিদের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও সদস্যসচিব পদ নিয়ে বিভক্ত ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একটি অংশ চাইছে নতুন দলের সদস্য সচিব হবেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। যিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান সদস্যসচিব। আরেক অংশ চাইছে আন্দোলনের অন্যতম আরেক মুখ আলী আহসান জুনায়েদকে। তিনি বর্তমানে নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। 

এ ছাড়া এ পদের দাবিদার রয়েছেন আরো দুজন তারা হলেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আখতার ও জুনায়েদের মধ্য থেকে কেউ এ পদে না আসতে পারলে এদের নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আবার আখতার-জুনায়েদ দুজনের কাউকে চান না এমন একটি অংশও রয়েছে নাগরিক কমিটিতে। যারা নাসীরকে এ পদে দেখতে চান। এ ছাড়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের অনুসারীরা চান এ পদে মাহফুজের বড় ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব আলম মাহিরকে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুরুতে এমন অনাস্থা তৃণমূলে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। মানুষ আস্থা হারাবে নতুন দলের প্রতি। আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। কিন্তু কেউ কেউ এ পদে একমাত্র নিজেই যোগ্য বলে ধরে নিচ্ছেন। যেটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, ইনক্লুসিভ পলিটিক্স করতে এসে পদের জন্য গো ধরে বসে থাকা কোনো সংগঠনের জন্য সুখকর নয়।

নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, নতুন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রধান দুটি পদের বাইরে অন্য শীর্ষ পদগুলোতে ‘পছন্দের নেতাদের’ বসাতে তৎপর নাগরিক কমিটির বিভিন্ন অংশ। বিশেষ করে নাগরিক কমিটিতে থাকা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতারা এ ব্যাপারে বেশ সক্রিয় বলে জানা গেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটিতে মধ্যপন্থি ও বামধারার নেতারাও রয়েছেন। তারা চান, প্রধান দুটি পদের বাইরে শীর্ষ পর্যায়ের অন্য পদগুলোতে নিজেদের ‘পছন্দের নেতারা’থাকুক।

জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, শীর্ষ পদে নাহিদ ইসলামকেই সবার পছন্দ। দ্বিতীয় শীর্ষ পদের জন্য আলোচনায় আছেন আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সারজিস আলম।

অন্যদিকে আরেক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংগঠনে আমাদের বিশাল কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। আমাদের অনুসারী অনেকে রয়েছেন। নির্বাচন দিলে আমাদের লোকই এ পদের জন্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু সেখানে নির্দিষ্ট কাউকে সরাসরি মনোনীত করার বিরোধী আমরা।

এদিকে আখতার ও জুনায়েদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কেউ লিখছেন আখতারকেই তারা নেতা মানেন আর কাউকে নয়। কেউ লিখছেন আখতারকে মাইনাস করতে চায় কে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ লেখেন আমার ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিতে আসা আখতার হোসেনের হাত ধরেই। এ দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি উনার ভালোবাসা সব সময় আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢাবি ক্যাম্পাসে একক নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সব সময় রুখে দাঁড়িয়েছেন। বারবার হামলার সম্মুখীন হয়েছেন, আহত হয়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সঙ্গীদের এক মুহূর্তের জন্যও ছেড়ে যাননি। কোনো যদি-কিন্তু ছাড়া সচেতন নাগরিক হিসেবে আখতার হোসেনের পাশে আছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে সংগঠনগুলোর প্রধান পদগুলোতে কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তা অবশ্যই ওই সংগঠনের সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। অন্তত প্রথম দশজনের সিদ্ধান্ত মানুষের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। আগের মতোই যদি একজন দুজনই সব সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে আমার যাত্রা দীর্ঘায়িত করব না।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন দল গঠনের পাশাপাশি একটি ছাত্রসংগঠনের কথাও ভাবছেন তারা। তবে সেটির নাম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে হবে না। ছাত্রসংগঠনটি হবে ভিন্ন নামে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম, তাই এটি এই নামেই থেকে যাবে। জাতীয় নাগরিক কমিটিও বহাল থাকবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে অনেকে নতুন দলে যোগ দেবেন, আর ছাত্রদের অনেকে যোগ দেবেন নতুন ছাত্রসংগঠনে।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close