শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল      ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক      বাংলাদেশকে আলাদা কোনো শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র : প্রেস সচিব      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
স্মৃতিতে জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহিদ
রেজাউল করিম খোকন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:১৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুর ৩৬ দিন পর বাবা হয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাক রুবেল। চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট কুমিল্লার দেবিদ্বারে গুলিতে নিহত হন তিনি। নিহত রুবেল দরিদ্র ঘরের সন্তান। বাস চালিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। রুবেলের মৃত্যুতে গত এক বছর ধরে দুর্বিষহ জীবন পার করছে তার পরিবার। একটি গুলিতে নিভে গিয়েছিল সব। সন্তানের মুখ দেখে যেতে না পারা শহিদ রুবেলের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। 

তার মতো আরো অনেক শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। 

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৮৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি নিহত ও আহত হয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা-ব্যবস্থার সংস্কারকামী আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ গালাগাল দিয়ে এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন নস্যাতের অপপ্রয়াস চালিয়ে হাসিনা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্বৈরাচার পতনের গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তর করেছিলেন। সবচেয়ে জঘন্য পদক্ষেপটি ছিল ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়ে তাদের হত্যালীলায় ঠেলে দেওয়া। 

১৭-১৮ জুলাই এবং ৪-৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে শত শত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে কারফিউ দিয়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছিল আন্দোলন দমনের জন্য। ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। তখন ঢাকার চারদিক থেকে লাখো মানুষের মিছিল ছুটতে শুরু করেছিল ঢাকার কেন্দ্রস্থলের দিকে। ঢাকা থেকে পালিয়ে যেতে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। 

৫ আগস্ট  বেলা আড়াইটার দিকে যখন হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ঢাকা থেকে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল, তখন প্রায় ২০ লাখ মানুষের মিছিল রাজপথ ধরে শাহবাগ, গণভবন ও সংসদ ভবনের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। এ লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় জড়ো হয়ে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও পলায়ন উদযাপন করছিলেন। 

উনসত্তরে সেই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার চিত্র, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। সেনাশাসক এরশাদ যেদিন বঙ্গভবনে গিয়ে পদত্যাগ করে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেনানিবাসে ফিরে গেলেন, সেদিন ঢাকা শহর ছিল মিছিলে মিছিলে একাকার। কিন্তু এবারের মিছিলের সঙ্গে সেই মিছিল, এবারের গণজাগরণের সঙ্গে সেই গণজাগরণের কোনো তুলনা হয় না। 

সেবার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বামপন্থি জোটসহ বিভিন্ন দল। এরশাদের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন পেশাজীবীরাও। 

কিন্তু এবারের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে হয়নি। প্রচলিত ছাত্রসংগঠনও সেভাবে রাস্তায় নামেনি। নেতৃত্ব দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা সেই অর্থে ছাত্রনেতা ছিলেন না। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যাদের কেউ কেউ ছাত্রসংগঠন করলেও বেশিরভাগ ছিলেন সাধারণ ছাত্রছাত্রী। আন্দোলনের নেতৃত্বেও তারা বিরল যূথবদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন। শতাধিক সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক নিয়ে অতীতে কোনো আন্দোলন এ দেশে গড়ে ওঠেনি।

ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ৭ শতাধিক মানুষের আত্মত্যাগের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শুধু নয়, সাম্প্রতিক বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বাংলাদেশের এ আন্দোলনে দেখা গেছে এমন কিছু দৃশ্য যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

পৃথিবীর ইতিহাসে চীনের তিয়েন আনমেন স্কোয়ারে ছাত্র আন্দোলনের পরই জীবনহানি সংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশের এ ছাত্র আন্দোলনকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ছাত্র আন্দোলন বলা যায়। 

বাংলাদেশের এ আন্দোলনে মানুষ হত্যাকাণ্ডের যে দৃশ্যাবলি দেখা গেছে, নৃশংস ও নির্মমতার দিক দিয়ে তা কেবল মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের হাতে বাঙালি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই তুলনা চলে। সাভারের কাছে পুলিশের আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার অথবা এপিসির ওপর থেকে গুরুতর আহত রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিনকে পুলিশ সদস্যরা যেভাবে রাস্তার ওপর ফেলে দিয়েছে, তা দেখে মানুষ স্তম্ভিত হয়েছিল। 

আরো একটি ঘটনায়, পুলিশের তাড়া খেয়ে একজন তরুণ রামপুরার একটি নির্মাণাধীন ভবনে জানালার কার্নিশে আত্মরক্ষার জন্য আশ্রয় নেন। পুলিশের একজন সদস্য তার পিছু পিছু এসে দেখতে পেয়ে খুব কাছ থেকে তিন থেকে চারটি গুলি করে মারাত্মকভাবে জখম করে চলে যায়। তার পরপরই অন্য একজন পুলিশ সদস্য এসে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি করে তরুণটির মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান, যা ছিল খুবই নির্মম ও বর্ণনাতীত। অথচ পুলিশ অতি সহজেই তরুণটিকে গ্রেফতার করতে পারতেন। কারণ, তরুণটির জানালার কার্নিশ থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়ার পথ ছিল না। 

পুলিশের এ বর্বর আচরণ পৃথিবীর সব মানবতাবিরোধী অপরাধকে যেন ছাড়িয়ে গেছে। পুলিশ সদস্যদের এমন বর্বর আচরণ দেখে জাতিসংঘের শিশু ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

প্রশ্ন উঠেছে, আইনবহির্ভূতভাবে একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রের নির্বিঘ্ন ব্যবহার নিয়ে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এসব অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। অথচ এসব অস্ত্র পুলিশের ব্যবহারের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। প্রাণঘাতী অস্ত্র কখনো নিরস্ত্র মানুষের বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হয় না। 

জোর করে ক্ষমতায় আসা যায়, অনেক দিন থাকাও যায়। কিন্তু একসময় বিদায় অনিবার্য হয়ে ওঠে। জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। শেখ হাসিনার করুণ বিদায়ের মধ্য দিয়ে তা আরেকবার প্রমাণ হলো। দেশের সাধারণ মানুষকে এ সত্যটা বুঝতে হবে, আমরা চাইলেও মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে না। সব পর্যায়ের জুলুম, অবিচার, দুর্নীতি, অনাচার, বৈষম্য দূর করে ন্যায়ভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও প্রকৃতিবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় দরকার কাঠামোগত সংস্কার। 

প্রয়োজনীয় এ সংস্কারের জন্য বর্তমান সরকারকে সময় না দিলে আমাদের চারপাশে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসর ও আয়না ঘরের জনক-জননীরা আবার আমাদের জাহিলিয়াতের যুগে ফেরত নিয়ে যাবে। লেখার শুরুতে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ বৈষম্যবিরোধী জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আত্মদানকারী কুমিল্লার এক দরিদ্র বাস চালক রুবলের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর পুত্র সন্তানের বাবা হওয়ার কথা তুলে ধরেছি। 

রুবেলের অকাল মৃত্যুতে তার গোটা পরিবার এক সীমাহীন দুঃখ, দুর্দশা, চরম অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকের মধ্যে পড়ে গেছে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ এ আন্দোলনে  আত্মদানকারী প্রতিটি শহিদ পরিবারে আজ অসীম শূন্যতা গ্রাস করেছে। কেউ প্রিয় সন্তান, আবার কেউ স্নেহশীল পিতা, কেউ আবার আদরের ভাই হারিয়ে ফেলেছেন গত জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ভয়ংকর সময়ে। 

টগবগে উচ্ছল প্রাণবন্ত উজ্জ্বল তরুণ, তরুণী, যুবক, কিশোর কিংবা সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি হঠাৎ এভাবে অপ্রত্যাশিত ভাবে পৃথিবী থেকে নির্মমতার শিকার হয়ে বিদায় নেবে, কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। দেশ আজ দীর্ঘ সময় ধরে চেপে বসা দুঃসহ দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ভয়ংকর নির্যাতন, অত্যাচার, হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষ। 

আজ নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। আমরা সবাই মুক্তির স্বাদ অনুভব করছি। কিন্তু আজকের এই বিজয় অর্জন, স্বৈরাচার মুক্ত পরিবেশে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারার সুযোগ লাভ—এত সব কিছুই আমরা অর্জন করেছি শত শত তরতাজা প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য মানুষের মূল্যবান দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো বেদনাদায়ক ঘটনার বিনিময়ে। এখনো হাসপাতালে, আপন ঘরে আন্দোলনের সময় স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের নির্মমতার শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হয়েছেন। 

এত আত্মত্যাগ, বিসর্জন, তিতিক্ষা—আমরা যেন কোনোভাবেই ভুলে না যাই। যাদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকের মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে নিশ্বাস নিতে পারছি তাদের প্রতি কোনোরকম অবহেলা, অপমান, লাঞ্ছনা অভাগা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবজ্ঞা যেন করা না হয়। তাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়ে শহিদদের মর্যাদা দিতে হবে। 

সন্তানহারা, পিতৃহারা, ভাইহারা, বোনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন, সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। তাদের মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার পৈশাচিক ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানো সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আত্মদানকারী শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমরা তাদের ভুলব না কোনোভাবেই।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত  ব্যাংকার ও কলামিস্ট     
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

শালিখায় বাড়ছে পাটকাঠির কদর
গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
জামায়াতে এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি : সুমন
সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট

সর্বাধিক পঠিত

‘হেফাজতের সাথে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নাই’
‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
সুলতানগঞ্জকে যদি বন্দর করা যায় তাহলে করা হবে: ড. এম সাখাওয়াত
নওগাঁয় চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধন
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close