রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
২৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
তারেক রহমানের হাত ধরে গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ
এসএম রায়হান মিয়া
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৮ এএম

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ই যেন ক্ষমতা, আদর্শ, প্রতিশোধ ও প্রতিরোধের এক মহাযজ্ঞ। বাংলাদেশের ইতিহাসে যেমন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অধ্যায় রয়েছে, তেমনি রয়েছে ক্ষমতার অন্ধকার গলিতে হারিয়ে যাওয়া ন্যায়ের আর্তনাদ। স্বাধীনতার পর অর্ধশতাব্দী পার হয়ে আজও এ দেশ খুঁজছে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র, যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ কাজ করবে জনগণের কল্যাণে, আর রাজনীতি হবে নীতি ও নৈতিকতার প্রতিফলন। 

এ দীর্ঘ অনুসন্ধানের মাঝে এক নাম ক্রমেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে তারেক রহমান। কেউ তাকে দেখেন ষড়যন্ত্রের শিকার হিসেবে, কেউ দেখেন এক নতুন রাজনৈতিক চিন্তার প্রতীক হিসেবে। তার জীবন ও রাজনীতি বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতির উত্থান-পতনের প্রতিচ্ছবি, আবার একইসঙ্গে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিগন্তও।

এক/এগারোর সময়কাল থেকে শুরু করে পরবর্তী দেড় দশক ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গভীর অস্থিরতার যুগ। ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা শুধু নির্বাচনের স্থগিতাদেশই নয়, বরং নির্বাচিত রাজনীতিকদের রাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করার এক বৃহৎ প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। সেসময়ই শুরু হয় তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরানোর সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। একদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয়তা, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উসকানি সব মিলিয়ে তাকে লক্ষ্য করে সাজানো হয় অগণিত মামলা। 

অভিযোগের সংখ্যা এত বেশি ছিল যে, তা বিচারব্যবস্থার বাস্তবতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। বলা হয়, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৮৩-৮৪টি, যার মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনো বাস্তব প্রমাণ ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিশোধের নেশা এত গভীর ছিল যে, রাষ্ট্রের ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছিল একজন নেতাকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে।

এ পরিস্থিতিতে তার দেশে ফেরা মানে ছিল কারাগারে প্রত্যাবর্তন। এমনকি জীবননাশের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। কিন্তু তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা থেমে যায়নি। নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুনভাবে চিন্তা করতে শুরু করেন। তার চিন্তার কেন্দ্রে ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পুনর্গঠন। তিনি বুঝেছিলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট শুধু নেতৃত্বের নয়; এটি নৈতিকতারও সংকট।

এ দীর্ঘ অন্ধকার পর্বে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় নিহত হন ২৪ জন, আহত হন শতাধিক। ঘটনাটি ছিল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও মানবিকতার এক গভীর বিপর্যয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এ ভয়াবহ ঘটনার বিচারপর্ব পরবর্তীকালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। 

২০১৮ সালে আদালতের রায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যদিও মামলার সাক্ষ্য ও প্রমাণ নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। তদন্তের অসঙ্গতি, সাক্ষ্যগ্রহণে অনিয়ম, এবং রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ সামনে আসে বহুবার। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায়ে তার খালাস ঘোষণা করলে জাতির বিচারব্যবস্থায় নতুন আলো দেখা যায়। আদালত স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন, তদন্তে অনিয়ম ছিল গুরুতর এবং সাক্ষ্যপ্রমাণে ছিল অসঙ্গতি। পরে ২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগও সেই খালাস বহাল রাখে।

এ রায়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের মিথ্যা অপবাদ আইনি স্বীকৃতিতে বাতিল হয়, তেমনি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আবারও ন্যায়বিচারের পথে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে কাউকে নির্মূল করার সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কতটা বিপজ্জনক এ রায় সেই প্রশ্নকেই সামনে এনে দেয়।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে একটি দীর্ঘ ষড়যন্ত্র। একদিকে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তারা ইতিহাসের আদালতে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে যিনি বছরের পর বছর নির্বাসিত থেকেও তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত হননি, তিনি হয়েছেন প্রতীক অবিচলতার, ধৈর্যের ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতীক।

বাংলাদেশে রাজনীতি অনেক সময়ই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে, কিন্তু তারেক রহমানের দর্শনে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জনগণ। তার ভাষায়, ‘দেশ মানে শুধু আমাদের দল নয়, দেশ মানে ২০ কোটি মানুষের স্বপ্ন ও অধিকার।’ এ বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি দার্শনিকও। কারণ এখানে ব্যক্তি বা দল নয়, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পর্কের পুনর্নির্মাণের ইঙ্গিত আছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, একটি রাষ্ট্র টিকে থাকতে হলে তার ভিত মজবুত করতে হবে জনগণের আস্থা দিয়ে, আর সেই আস্থা আসে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা থেকে।

‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এ নীতিবাক্য তার রাষ্ট্রচিন্তার সারমর্ম। এটি একটি আদর্শিক প্রতিজ্ঞা, যেখানে রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রকে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ স্থানে। এর মধ্যে নিহিত আছে এক ধরনের নাগরিক জাতীয়তাবোধ, যা দলীয় সীমার বাইরে গিয়ে দেশের সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। এ দর্শনের মাধ্যমে তিনি মূলত রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাইছেন। যেখানে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ হবে নীতিনির্ধারণের মূল মাপকাঠি।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে সবচেয়ে বড় বাধা হলো পারস্পরিক অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং জনগণের আস্থা ক্ষয়ে যায়। তারেক রহমান এ অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়; গণতন্ত্র মানে মানুষের মৌলিক অধিকার ও অংশগ্রহণ।’ এ বক্তব্যে গণতন্ত্রকে তিনি শুধু নির্বাচনের প্রক্রিয়া হিসেবে নয়, বরং একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তার রাজনৈতিক দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই টেকসই হবে, যখন কৃষক, শ্রমিক, নারী, যুবক, প্রতিবন্ধী, শিক্ষক সব শ্রেণির মানুষ তার সুফল পাবে। রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলায় সীমাবদ্ধ না থেকে জনগণের জীবনের প্রতিটি স্তরে পৌঁছাতে হবে। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের সঙ্গে সংযোগ রাখার জন্য, জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য। তার মতে, ‘জনগণের আস্থা ধরে রাখাই সবচেয়ে কঠিন কাজ; আমরা যদি জনগণের আস্থা হারাই, তবে সারা দিন আলোচনা করে কোনো ফল হবে না।’

একটি রাষ্ট্র তখনই স্থিতিশীল হয়, যখন তার নেতৃত্ব জনআকাক্সক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নেতৃত্বহীনতার শূন্যতা। গণঅভ্যুত্থানপরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশ আজ দিকহারা। ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে, কিন্তু নেতৃত্বের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল। এ মুহূর্তে দেশ যেভাবে এক গভীর রাজনৈতিক অভিভাবকহীনতার মধ্যে নিমজ্জিত, সেখানে তারেক রহমানের নেতৃত্ব অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তিনি শুধু একটি দলের নেতা নন; তিনি এমন এক চিন্তার ধারক, যা জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের পুনর্গঠনে সক্ষম।

তবে এ পথ সহজ নয়। রাজনৈতিক বাস্তবতা জটিল ও বিপজ্জনক। বহু বছর ধরে প্রচলিত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি, দুর্নীতি, দলীয়করণ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতার অভাবসবই একটি নৈতিক পুনর্জাগরণের পথে বড় বাধা। তারেক রহমান এ বাধা অতিক্রমের জন্য জোর দিয়েছেন কঠোর দুর্নীতি দমন, রাজনৈতিক জবাবদিহিতা ও দলীয় কাঠামোর সংস্কারে। তার বিশ্বাস, নেতৃত্বের যোগ্যতা আসে নৈতিকতা থেকে, এবং দলের শক্তি আসে জনগণের আস্থা থেকে। এজন্য তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতি কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়; এটি জনগণের দায়িত্ব।’

এ বক্তব্যের মধ্যেই নিহিত আছে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। একটি রাষ্ট্র তখনই টিকে থাকে, যখন সেখানে রাজনীতি হয় দায়িত্বের, নয় প্রাপ্তির। বাংলাদেশের আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সেই দায়িত্ববোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব, যারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, জাতির নিরাপত্তা নিয়ে ভাববে।

তারেক রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা এক অনন্য প্রতিরোধের ইতিহাস। নির্বাসনের বছরগুলো তার জন্য যেমন কষ্টের, তেমনি আত্মবিশ্লেষণের সময়ও ছিল। এ সময়ই তিনি রাজনৈতিক চিন্তায় পরিণত হন। অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি। আজ তার চিন্তায় যে পরিণত রাজনীতি আমরা দেখি, তা কোনো আকস্মিক প্রাপ্তি নয়; এটি সময়, যন্ত্রণা ও সংগ্রামের ফসল।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি যদি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক হতে চায়, তবে প্রয়োজন হবে এমন এক নেতৃত্বের, যিনি জনগণকে একত্রিত করতে পারবেন। তারেক রহমানের সবচেয়ে বড় শক্তি এ ঐক্যবোধ। তিনি বারবার বলেছেন, ‘আমাদের লড়াই কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’ এ বক্তব্যই তাকে একজন আদর্শবাদী নেতা হিসেবে আলাদা করে তোলে।

বর্তমান বিশ্বে রাজনীতি ক্রমেই ব্যক্তিকেন্দ্রিক, ব্যবসায়িক ও স্বার্থভিত্তিক হয়ে উঠছে। কিন্তু তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টি এ প্রবণতার বিপরীতে অবস্থান নেয়। তার কাছে রাজনীতি হলো জনগণের সেবা, রাষ্ট্রের মর্যাদা ও স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। তিনি বারবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।’ এ বক্তব্যে ফুটে ওঠে তার দেশপ্রেম, যা রাজনৈতিক অবস্থানের ঊর্ধ্বে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে নেতৃত্বের অভাব কোনো নতুন বিষয় নয়, কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে এটি সবচেয়ে গভীর। কারণ, জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। তারা রাজনীতিকে আর আশা হিসেবে দেখে না, বরং ভয় হিসেবে দেখে। এ অবস্থায় যদি কোনো নেতা জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন, তবে সেটি হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের সূচনা। তারেক রহমান সে সম্ভাবনার প্রতীক।

যদিও এখনো তার বিরুদ্ধে কিছু মামলা চলমান, তবু আইন ও সত্যের বিচার শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্ত করবেএমন বিশ্বাস জনমনে স্পষ্ট। তার প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা আজ শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়; এটি জাতীয় পুনরুদ্ধারের আহ্বান। মানুষ এখন এমন এক নেতৃত্ব চায়, যে নেতৃত্ব ক্ষমতার লোভে নয়, দায়িত্ববোধে অনুপ্রাণিত হবে।

অতএব, বাংলাদেশের এ দীর্ঘ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে তারেক রহমান শুধু একজন ব্যক্তি নন; তিনি এক প্রতীকন্যায়, গণতন্ত্র ও মানুষের মর্যাদার প্রতীক। তিনি যদি ফিরে আসেন, তবে তা শুধু একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের সূচনা হবে।

রাজনীতির জগতে সময়ই শেষ বিচারক। যে সময় একদিন তাকে বন্দি করেছে, সেসময়ই আজ তার নির্দোষতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন এক নতুন সূর্যোদয় যেখানে প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, সহযোগিতা ও ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান সেই নতুন সূর্যের আগমনবার্তা হয়ে উঠতে পারেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়তো আবারও খুঁজে পাবে সেই স্বপ্ন একটি স্বাধীন, সুশাসিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের, যেখানে গণতন্ত্র কেবল শাসনের পদ্ধতি নয়, বরং জীবনের দর্শন।

বাংলাদেশ এখন তার প্রতীক্ষায় জনগণের প্রতীক্ষায়, ন্যায়ের প্রতীক্ষায়, ভবিষ্যতের প্রতীক্ষায়।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ
ইমপোর্টার-এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

সর্বাধিক পঠিত

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম
রাজশাহীতে চার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
চলনবিলে পাখি শিকারের ফাঁদ ধ্বংস, বক ও ঘুঘু উদ্ধার
আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close