বাংলাদেশের প্রধান শহর ও রাজধানীর নাম ঢাকা। যা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এ মেগাসিটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সোপান। কারওয়ান বাজার রাজধানী ঢাকার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত।
ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে (২০২৫) কারওয়ান বাজার এলাকায় রাজধানীর অন্যতম প্রধান পাইকারি মাছ, সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের আড়ত রয়েছে। এ ছাড়া এ এলাকাকে মিডিয়া পাড়া হিসেবেও সবাই চেনেন।
ছবি : সংগৃহীত
এ এলাকায় অনেকগুলো প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অফিস রয়েছে। দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, ডেইলি স্টার, আমার দেশ, মানবজমিন, বণিকবার্তাসহ অনেক পত্রিকা। একুশে টিভি, এনটিভি, এটিএন নিউজ, এটিএন বাংলা, আরটিভির মতো টিভি চ্যানেল ছাড়াও রয়েছে ব্যাংক, বিমাসহ অনেক সরকারি-বেসরকারি অফিস। আছে পাঁচ তারকা হোটেল ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের স্টুডিও ও অফিস।
ছবি : সংগৃহীত
কারওয়ান বাজার নামের উৎপত্তি নিয়ে অনেক ধারণা প্রচলিত থাকলেও সর্বগ্রহণযোগ্য ধারণা হলো—মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার সুবেদার (গভর্নর) শায়েস্তা খানের শাসনকাল ছিল ১৬৬৪ থেকে ১৬৮৮ সাল পর্যন্ত (দুদফায় ২২ বছর)। যা ছিল মুঘল শাসনের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে বাংলায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে এবং বেশ কিছু স্থাপত্য নির্মিত হয়েছিল।
ছবি : সংগৃহীত
দিল্লির সুলতান শেরশাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড বা সড়ক-ই-আজমের কথা কমবেশি সবাই জানেন। ঢাকা থেকে টংগী পর্যন্ত গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের অংশ পুনরায় নির্মিত হয় ঢাকার মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খানের আমলে। এ রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত সরাইখানাগুলো আবার সংস্কার করা হয় মীরজুমলার আমলে। সরাইখানাকে বলা হতো কারাবান।
ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান কারওয়ান বাজার বা কাওরান বাজার এলাকায় ছিল এমনি একটি সুপরিচিত কারাবান বা সরাইখানা। শত বছরের ব্যবধানে সেই কারাবান ভিন্নভাবে উচ্চারিত হতে হতে মানুষের মুখে আজকের কারওয়ান বাজারে পরিবর্তিত হয়েছে। আজ সেই সরাইখানাও নেই কিন্তু কারওয়ান বাজার নামের মধ্যে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে মীরজুমলার নির্মিত সেই কারাবান। সূত্র : উইকিপিডিয়া