ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গোল্লাজয়পুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক নীলকুঠি শুধু ধ্বংসস্তূপের স্মৃতিচিহ্ন। এক সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল কুঠিবাড়ি। আজ এর ভিটা আর ভগ্নপ্রায় ইটের দেয়াল কেবল অতীতের সাক্ষ্য।
পলাশী যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা এ অঞ্চলে আসতে শুরু করে। এরপর নীল চাষ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কুঠিবাড়ি নির্মাণ করে। ইতিহাসবিদদের মতে, নবাব সিরাজের পতনের পরই ঈশ্বরগঞ্জ-মাদারগঞ্জ অঞ্চলে নীলকুঠির গোড়াপত্তন হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা রোমান আহমেদ (২৭) বলেন, “নীলকুঠির ভিটার নিচে দুই-তিনটি কক্ষ রয়েছে। অন্ধকার ঘরে শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণী বসবাস করছে। একসময় এটি ছিল দোতলা কাঠামোর লম্বা দালানঘর।”
আগস্ট (২০২৪), গৌরীপুরের কয়েকটি সংগঠনের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গৌরীপুরের ১২টি জমিদার বাড়ির রাজস্ব আদায়ের সীমানার মধ্যেই নীলকুঠির অবস্থান। নিকটেই রয়েছে কালীপুর, ভবানীপুর ও গৌরীপুর রাজবাড়ির জমিদার সীমানা।
নীলকুঠিতে জন্ম বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার ও কৌতুকাভিনেতা আশিষ কুমার লৌহের।
ঐতিহাসিক কুঠিবাড়িটি অযত্ন-অবহেলায় ভেঙে পড়ছে। যথাযথ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমান বলেন, “ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে সব কিছু জানতে পারে, নীলকুঠির ঈশরগঞ্জ ইতিহাসের সাক্ষী।”
কেকে/বি