দেশজুড়ে শীতের প্রভাব তীব্র হচ্ছে। দেশের অনেক স্থানে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের আঘাত হতে পারে, যা দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি পর্যন্ত নামিয়ে দিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সারাদেশে দিন-রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যেতে পারে। এছাড়া দেশের নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতেও স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বাতাস উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬২ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে আজকের সূর্য অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে।
কেকে/ আরআই