শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: বাক-স্বাধীনতার শ্বাসরুদ্ধ রাষ্ট্রীয় হাত
সুদীপ্ত শামীম
প্রকাশ: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১৩ পিএম আপডেট: ০৩.০৫.২০২৫ ১:৪৪ পিএম
ছবি : সুদীপ্ত শামীম

ছবি : সুদীপ্ত শামীম

৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিনটি কেবল ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, বরং এটি এক প্রতীক– মুক্তচিন্তা, সাহসিকতা এবং মানুষের অধিকারের কণ্ঠস্বর রক্ষার দৃপ্ত প্রতিশ্রুতি। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেইসব সাংবাদিকদের, যাঁরা সত্য বলার জন্য জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কাজ করেন, আর সেই সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে, যারা দিনের পর দিন সে কণ্ঠরোধে তৎপর থাকে। 

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর উদ্যোগে নামিবিয়ার উইন্ডহোক ঘোষণায় উচ্চারিত হয়– ‘একটি স্বাধীন, বহুমুখী ও মুক্ত সংবাদমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি।’ এ ঘোষণার পর ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ৩ মে'কে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিনটি বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিয়ে আলোচনা এবং সচেতনতা তৈরির উপলক্ষ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশে দিনটি প্রায় নিঃশব্দে পার হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে নেই কোনো দায়বদ্ধ বার্তা, নেই সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান, নেই কোনো নিরাপত্তার আশ্বাস। বরং বছরের পর বছর ধরে সাংবাদিকদের হয়রানি, মামলার হুমকি, গ্রেফতার কিংবা খুনের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ে। ফলে ৩ মে এখানে কোনো উদযাপন নয়, বরং এক নীরব প্রতিরোধের দিন– যেখানে প্রশ্ন জাগে, সত্য বলা কি তবে অপরাধ?

গণতন্ত্র মানেই মুক্ত গণমাধ্যম, না হলে তা কাগুজে গণতন্ত্র

গণতন্ত্রের আসল শক্তি জনগণের জানার অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় নিহিত। যদি মানুষ জানতে না পারে– সরকার কী করছে, কী ভুল করছে, কোথায় অনিয়ম হচ্ছে? তবে গণতন্ত্রের অর্থ শুধু নির্বাচনের দিন ভোট দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। একমাত্র মুক্ত গণমাধ্যমই পারে জনগণের সামনে বাস্তব তথ্য তুলে ধরতে, প্রশ্ন তুলতে এবং চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। বাস্তবতা হলো এই সাংবিধানিক অধিকারগুলো দিন দিন উপেক্ষিত হচ্ছে। সাংবাদিকদের তথ্য চাওয়ার অধিকার খর্ব করা হয়, অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার কারণে হেনস্তা বা মামলার শিকার হতে হয়। কেউ সরকারের সমালোচনা করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ফাঁদে ফেলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক অপছন্দের সংবাদ হলে তা মিথ্যা বা রাষ্ট্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এমন একটি বাস্তবতায় ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি কেবল একটি অলঙ্কারিক উপমা হয়ে দাঁড়ায়, যার ভিতরে থাকে না কোনো জবাবদিহি, স্বচ্ছতা বা নাগরিক অধিকার। সুতরাং, একটি সজীব গণতন্ত্র চাইলে প্রথম শর্তই হচ্ছে– একটি স্বাধীন, সাহসী ও দমনমুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করা। তা না হলে, আমরা কেবল কাগজে গণতন্ত্রের গল্প লিখে যাব, বাস্তবে নয়।

সাংবাদিক নির্যাতন: বাংলাদেশের ভয়াবহ বাস্তবতা

বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অন্তত ১০০টিরও বেশি সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং ২০১২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৫ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশের হত্যার মামলা এখনও বিচারাধীন বা নিষ্পত্তিহীন। গত পাঁচ বছরে ৫০০’র বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি এক ভয়াবহ হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এরমধ্যে কিছু ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শোচনীয়। যেমন ২০১২ সালে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, যা আজও তদন্তের মুখে। ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়নি এবং মামলার কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ২০২১ সালে রোজিনা ইসলামকে সরকারি নথি চুরির মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়, তবে পরে তার বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ ছিল না। একইভাবে ২০২০ সালে শফিকুল ইসলাম কাজল ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিলেন, এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০২৩ সালে নওগাঁর সাংবাদিক বুলবুল আহমেদকে স্থানীয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে হত্যা করা হয়, কিন্তু হত্যাকারীরা এখনো অধরা। এসব ঘটনা একদিকে যেমন সাংবাদিকদের জন্য একটি ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তেমনি সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখার একটি কার্যকরী পন্থা হিসেবে কাজ করেছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে এক অত্যন্ত লজ্জাজনক অধ্যায় হলো কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের ঘটনা। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে জেলা প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা তাকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি মদ ও গাঁজা রেখেছিলেন, অথচ ঘটনার সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে বাসায় ছিলেন এবং কোনো মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি। তাকে রাতেই জেলা প্রশাসনের অফিসে নিয়ে গিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয় এবং মদ-গাঁজা রাখার অভিযোগে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময়ে তদন্তে বেরিয়ে আসে যে তার বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ ছিল না এবং আসলে তিনি প্রশাসনের কিছু দুর্নীতির প্রতিবেদন করার কারণে প্রতিহিংসার শিকার হন। এই ঘটনা একদিকে যেমন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনকে পদদলিত করার একটি উদাহরণ, তেমনি এটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভয়াবহ পরিস্থিতি ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার প্রতি এক চরম হুমকির দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকরা এখন সত্য বলার আগে দশবার ভাবেন, কারণ তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সময় অভিযোগ আনা হতে পারে, যেটি সরকারের একান্ত ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার হতে পারে।

আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের হতাশাজনক অবস্থান

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF)-এর সর্বশেষ ২০২৪ সালের প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশ ১৬৩তম স্থানে অবস্থান করছে। এই অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিচে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। বাংলাদেশ বিশ্ব গণতান্ত্রিক দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নরওয়ে ১ম, সুইডেন ২য়, নেপাল ৭৩তম, শ্রীলঙ্কা ১৫০তম এবং ভারত ১৫৯তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের এ হতাশাজনক অবস্থানের কারণ হিসেবে RSF উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তথ্য গোপন, সাংবাদিকদের শারীরিক নির্যাতন, সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে চাপ প্রয়োগ এবং আইনি হুমকির মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমিত করা। এসব কারণেই বাংলাদেশ প্রেস ফ্রিডম সূচকে নিচের দিকে অবস্থান করছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র

২০১৮ সালে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুরু থেকেই সাংবাদিক সমাজ, মানবাধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ, এই আইনের এমন কিছু ধারা রয়েছে যা প্রয়োগ করে খুব সহজেই যেকোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার, হয়রানি কিংবা দমন করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ২৫ ধারায় ‘ভীতি বা গুজব ছড়ানো’র অভিযোগে মামলা দায়ের করা যায়; ২৯ ধারায় ‘মানহানিকর’ কিছু প্রকাশের দায়ে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে; আর ৩১ ধারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৭ বছর পর্যন্ত শাস্তির সুযোগ রাখে। এই ধারাগুলোর অস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও অপব্যবহারের সুযোগ থাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনেক সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করে, যাতে সত্য প্রকাশের আগেই ভয় বা চুপ করিয়ে দেওয়ার একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়।

২০২৩ সালে এই আইনের নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ করা হলেও মূল কাঠামো এবং সাংবাদিক নির্যাতনের পথ অনেকাংশেই অটুট রয়েছে। নাম বদলালেও মনোভাব বদলায়নি—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। ফলে এই আইন এখনো অনেকাংশে বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি কার্যকর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তথ্য অধিকার আইন: কাগজে অধিকার, বাস্তবে বাধা

২০০৯ সালে পাস হওয়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, দেশের যে কোনো নাগরিক যে কোনো সরকারি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পেতে পারেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যা গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির ভিত্তি গড়ে তোলার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। অধিকাংশ সময় তথ্যের আবেদন ‘প্রক্রিয়াধীন’ বলে ফেলে রাখা হয়, ফলে আবেদনকারীরা কার্যত তথ্য থেকে বঞ্চিত হন। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। তাঁদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়, অনুসন্ধানী রিপোর্টে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, এমনকি অনেক সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় পান—যেন কথা বলাটাই এখন অপরাধ।

এই বাস্তবতা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের তাৎপর্যকে আরও গভীরভাবে অনুভব করায়। কারণ, স্বাধীন গণমাধ্যম কেবল মতপ্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি একটি দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার মূল স্তম্ভ। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতন, হুমকি এবং আইনগত প্রতিবন্ধকতা গণমাধ্যমের পরিসরকে ভয়াবহভাবে সংকুচিত করে তুলছে। এখনই সময় রাষ্ট্র, সমাজ ও নাগরিক সমাজকে একত্রে ভাবতে হবে—কেন আমাদের সাংবাদিকেরা আতঙ্কে থাকবেন? কেন তাঁরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হবেন? গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে না আনলে, আমাদের গণতন্ত্রও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়বে। অতএব, এই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে একটি মুক্ত, সাহসী এবং তথ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ব্যবস্থা গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।

বিকল্প পথ ও নিঃসঙ্গ আশার প্রদীপ

যেখানে কথার পাখা কেটে ফেলা হয়, সেখানে সমাজ কেবল নিঃশব্দ নয়– ভীত, অসাড় এবং আত্মবিচ্যুত। আর যখন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ হয়, তখন রাষ্ট্র এক অন্ধ গুহার বাসিন্দায় পরিণত হয়, যেখানে আলো বলতে কিছুই থাকে না, থাকে শুধু নিঃশ্বাসে জমে থাকা আতঙ্ক। আমাদের দরকার সত্য বলার সাহসিকতা রক্ষা করার রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা, নইলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। বাকস্বাধীনতা কোনও বিলাসিতা নয়; এটি মানুষের আত্মার আহার, একটি জাতির মুক্তির ধ্বনি। তাই এই সময়ের ডাক—আমরা যেন আবার কলম হাতে তুলে নিই, যারা ভয় পায় না, তাদের পাশে দাঁড়াই। তবেই সম্ভব ‘ভয়ের রাজত্ব’ ভেঙে ‘সাহসের সকাল’ গড়ে তোলা।

সুদীপ্ত শামীম
লেখক: কলামিস্ট, গণমাধ্যমকর্মী ও সংগঠক।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মাইলস্টোনে নিহত ফাতেমার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
ডিইপিজেড থেকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তাকে তুলে নিলো সন্ত্রাসীরা
আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

সর্বাধিক পঠিত

‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল
সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গ্রেফতার
রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না: মির্জা ফখরুল

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close