শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫,
২ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর ৭ বছর      শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন      শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত      জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সংঘর্ষ, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা      জুয়া-পর্নোগ্রাফির বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই সাইট ব্লক      যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান-আফগানিস্তান      এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কালো পতাকা মিছিল আজ      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাবে এজেন্টিক এআই!
প্রফেসর ড. শাহ জে মিয়া
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৯ এএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমি আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই তা হলো, কীভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জেনারেটিভ এআইয়ের একটি নতুন ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে পরিবর্তন বা নতুনত্ব আনতে পারে। এই এআই  প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্পর্কে আমি এর আগেও বহু কথা বলেছি, যা দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক দিনকাল এবং দৈনিক খোলা কাগজে গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। যে কেউ চাইলে পত্রিকার ওয়েবসাইটে বা গুগলে সার্চ করে এই লেখাগুলো পড়ে নিতে পারেন। আজ আমি বিশেষভাবে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো, কীভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য এজেন্টিক এআই (Agentic AI) এর ব্যবহার শিখতে পারে।

প্রসঙ্গত, আসুন জেনে নেওয়া যাক এজেন্টিক এআইটি আসলে কি। এজেন্টিক এআই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এর এমন একটি রূপ, যা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে মানুষের তত্ত্বাবধান বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই লক্ষ্য নির্ধারণ, কর্মপরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করে থাকে। এই ক্ষেত্রে, এজেন্টিক এআই একটি নতুন অ্যাডভান্সমেন্ট নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে, যা কি-না প্রথাগত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তি (reasoning), শিক্ষা (learning), এবং যে কোনো কাজের পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করার মাধ্যমে জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান করে। যাই হোক, আসুন একটি ব্যবহারিক উদাহরণ দেখা যাক। যখন কোম্পানিগুলো জটিলতা এবং পরিচালনার খরচের সঙ্গে লড়াই করে, তখন এজেন্টিক এআই তার বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ সম্পন্ন করে কার্যক্রমকে সহজতর করে দিতে পারে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে আরো স্বায়ত্তশাসিতভাবে স্বচ্ছতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে, যেটা কিনা লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাবিকাঠি। 

আসুন আলোচনার একটু ভেতরে প্রবেশ করি। বৈশিষ্ট্যগতভাবে এজেন্টিক এআই এর পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন দিক রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং যাতে তারা এগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে। প্রথমেই রয়েছে স্বায়ত্তশাসন এবং লক্ষ্য-চালিত ব্যবহার, যেখানে এই ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপ্লিকেশন মূলত রুটিন-ভিত্তিক কার্যক্রমের দিকে নজর দেয়। এই ক্ষেত্রে এজেন্টিক এআই বিশেষভাবে ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক কার্যপ্রবাহকে স্বয়ংক্রিয় করার জন্য বুদ্ধিমান অটোমেশন তৈরিতে প্রয়োজন হতে পারে। এই এআই সিস্টেমগুলো প্রধানত ইনফরমেশন সিস্টেমগুলোকে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে, যেখানে মানুষের ইনপুট একেবারেই প্রয়োজন হয় না। এই স্বয়ংক্রিয়তা এজেন্টিক এআইকে পুনরাবৃত্তিমূলক এবং সময়-সাপেক্ষ কাজগুলো দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সক্ষম করে তোলে। এর ফলে মানবকর্মীরা আরো জটিল ও সৃজনশীল কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে, যা কোম্পানিকে আরো ভবিষ্যৎমুখী করতে সহায়তা করতে পারে। 

তারপরে রয়েছে জটিল যুক্তি প্রয়োগ এবং পরিকল্পনা সম্পর্কিত কাজ যেখানে এজেন্টিক এআই সিস্টেমগুলো বিধিনিষেধ, জটিল আইন সম্পর্কিত বিষয় (rules and regulatory considerations) নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয়। আমরা সবাই জানি, কোনো একটি নতুন ব্যবসায়িক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে অথবা একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধি বাড়াতে গেলে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে কঠিন সমস্যার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন আইন এবং নিয়মকানুন মেনে ব্যবসায়িক কার্যপ্রণালি নির্ধারণ বা পরিচালনা করা। একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবা যাক। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই চায় না, ছোট্ট কোনো নিয়মকানুন না মানা বা আইন ভঙ্গের কারণে তাদের বিরাট আর্থিক ক্ষতি হোক, অথবা তাদের সামাজিক পরিচিতি, মর্যাদা এবং মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হোক। এই সমস্যার সমাধানে, আমাদের তরুণ এআই বিশেষজ্ঞরা প্রথমে এই সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নিয়মনীতিমালা সংগ্রহ করবে, তারপর তাদের কার্যকর কাজের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এজেন্টিক এআই ব্যবহার করে একটি এআই মডেল তৈরি করতে পারে। এই এআই মডেল প্রধানত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLMs) এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে টেক্সচুয়াল ডেটার পাশাপাশি অন্যান্য সকল প্রকারের ডেটা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে। তারই সঙ্গে নীতিমালা সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যবসায়িক কৌশল তৈরি করতে পারবে। এই মডেলগুলো একত্রিত করার মাধ্যমে একাধিক কৌশলগত পদক্ষেপ তৈরি করে জটিল সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব। এই ক্ষমতা এজেন্টিক এআই-কে কেবল বুদ্ধিমান তথ্য প্রক্রিয়া করাই নয়, বরং গভীর বিশ্লেষণ ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা তৈরি করার অনুমতি দেয়। এর মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করতে পারে যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সামগ্রিক ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সময়ের সঙ্গে কার্যকরী।

এর পরে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সরঞ্জাম একীকরণ (Tool Integration) এবং অনেকগুলো সিস্টেমকে একসঙ্গে করে একটি কার্যকর পদ্ধতি বা পদ্ধতির সমন্বয় বাস্তবায়ন করা। যদি কেউ একাধিক ইনফরমেশন সিস্টেমকে একত্রিত বা একীভূত করতে চায়, তবে একটি এজেন্টিক এআই তৈরির মাধ্যমে খুব সহজেই একাধিক সফটওয়্যার, এপিআই এবং ডেটাবেসকে  একত্রিত করে তাদের মধ্যে একটি ইন্টারফেস তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ভ্রমণ টিকিট বুকিং, বিরাট ওয়ার্কফ্লো পরিচালনা বা জটিল লেনদেন প্রক্রিয়াকরণের মতো কাজগুলো এজেন্টিক এআই খুব সহজেই সম্পন্ন করতে সক্ষম। একাধিক টুল একত্রীকরণের মাধ্যমে, এজেন্টিক এআই বিভিন্ন ডিজিটাল পরিবেশের মধ্যে একটি তথ্য আদানপ্রদানের সেতু তৈরি করে, যা এটিকে বাস্তব-বিশ্বের কাজগুলো কার্যকরভাবে সম্পাদনের সুযোগ করে দেয়। এটি বিভিন্ন ব্যবসার জন্য দরকারি টেকনোলোজিক্যাল প্ল্যাটফর্মকে একসঙ্গে জুড়ে ডেটা এবং ফাংশনাল অ্যাক্সেসকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে পারে।

এর পরে রয়েছে অভিযোজনশীলতা এবং নতুন পরিবেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা। এটি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে ফলাফলের ভিত্তিতে একটু একটু করে ক্রমাগত শিক্ষা গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে, এর কৌশলগুলো সমন্বয় করে থাকে। সেই সঙ্গে এটি ফিডব্যাক লুপের মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষমতা উন্নত করতেও সক্ষম। এই ধারাবাহিক শিক্ষা প্রক্রিয়া এজেন্টিক এআইকে নতুন বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, এটি পুনরাবৃত্তিমূলক ব্যবহারের মাধ্যমে আরো সঠিক এবং কার্যকর হয়ে ওঠে।

এর পরে রয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ উপলব্ধি করতে পারার ক্ষমতা। যেখানে ইলেকট্রনিক সেন্সর বা ব্যবহারকারীর ইনপুট বা ডিজিটাল উৎস থেকে রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে, এজেন্টিক এআই তার চারপাশের পরিবেশকে উপলব্ধি করতে সক্ষম। সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবেশ অনুযায়ী ব্যবহারকারীর ইনপুট অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই ক্ষমতা ব্যবসার মালিকদের বা ব্যবস্থাপকদের জন্য আশপাশের পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা অপরিহার্য করে তোলে। অ্যাডভান্সড ইনফরমেশন টেকনোলজির এই পৃথিবীতে, এজেন্টিক এআই বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আমাদের তরুণ প্রজন্ম প্রথাগত এআই সিস্টেমের ওপর এজেন্টিক এআইয়ের সুবিধাগুলো শেখার মাধ্যমে তা অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারে, তারই সঙ্গে এজেন্টিক এআইয়ের সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জটিল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জনমানুষের সেবা করতে পারে। এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীরা এজেন্টিক এআইয়ের সুবিধাগুলো ব্যবহার করে নিম্নলিখিত আলোচিত বেশ কিছু সুবিধাদি প্রদান করতে পারে।

প্রথমেই রয়েছে বর্ধিত দক্ষতা (Increased efficiency) এবং ওয়ার্কফ্লো স্বয়ংক্রিয় করার মাধ্যমে রিয়েল-টাইম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, যেখানে এআই এজেন্টরা সহজীকরণ পদ্ধতি  তৈরি করতে সক্ষম। যেটা যে কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগকে একটি কার্যকরী প্রসেসসিং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত করতে পারে। এই ধরনের উদ্ভাবন ওয়ার্কফ্লো অটোমেশনের মাধ্যমে ব্যবসার চটজলদি ভাব বাড়াবে। তারপরে রয়েছে, উন্নত সপরিষেবা (Enhanced self-service) প্রদান, যেখানে এজেন্টিক এআই একটি চ্যাটবট হিসেবে কাজ করতে পারে, এবং যখন কোনো গ্রাহক কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথোপকথন শুরু করে তখন আড়ালে থেকে এজেন্টিক এআই চ্যাটবটটি গ্রাহকের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করে। এই ধরনের এআই অ্যাপ্লিকেশন মানুষের জ্ঞান মডেলিং (human cognition modelling) এবং প্রাসঙ্গিক স্বয়ংক্রিয়তার ক্ষমতা ব্যবহার করে ভার্চুয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। পরবর্তীতে যে সুবিধাটি নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা হলো, কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি  যেখানে জটিল পরিস্থিতি বোঝার মাধ্যমে, এআই এজেন্টরা যেকোনো ব্যবসার নীতিমালা এবং সেরা অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে কর্মীদের কাজের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই ধরনের এআই আজকাল যে কোনো জটিল প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এবং  পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে সমাধান করতে পারে। 

আরো ভালো এবং দ্রুত ওয়ার্কফ্লো ডিজাইন এজেন্টিক এআই, যেমন পেগা ব্লুপ্রিন্ট একটি উদাহরণ হতে পারে।  এটি এজেন্টিক এআইয়ের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ যা আপনার ব্লুপ্রিন্ট বা ডিজাইনের বিবরণগুলোকে এনক্রিপ্ট করে, গোপন রাখে এবং সেগুলোকে এআই প্রশিক্ষণে কখনো ব্যবহার করা হয় না, যা কিনা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের এজেন্টিক এআই এমন পরিস্থিতিতে কাজ করে যেখানে গ্রাহকদের কী প্রয়োজন তা বোঝার ভিত্তি তৈরি করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি পেগা কাস্টমার ডিসিশন হাব থেকে শিখতে পারেন, যা বিলিয়ন বিলিয়ন ডেটা বিশ্লেষণ করে সঠিক পদক্ষেপটি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে গুগলে সার্চ করে (Pega Blueprint)  নিতে পারেন।  

যাই হোক, চলুন আলোচনা করা যাক কীভাবে এজেন্টিক এআই প্রথাগত এআই থেকে আলাদা। এজেন্টিক এআইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো: এটি সক্রিয়  এবং বুদ্ধিমান স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে সক্ষম। অপরদিকে, স্বায়ত্তশাসনের দিক থেকে প্রথাগত এআইয়ের বৈশিষ্ট্য হলো: এটি খুব প্রতিক্রিয়াশীল এবং কাজ করার জন্য এক ধরনের ইনপুটের প্রয়োজন হয়। কার্যক্ষেত্রের দিক থেকে, এজেন্টিক এআই ব্যাপকভাবে বিস্তৃত কারণ এটি সাংগঠনিক বা ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অনেক ডাটা একসঙ্গে প্রসেস করতে সক্ষম। অন্যদিকে, প্রথাগত এআই সংকীর্ণভাবে নিয়মভিত্তিক ওয়ার্কফ্লোর প্রতি মনোযোগী থাকে। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতার  জন্য, এজেন্টিক এআই অভিযোজনশীল  এবং পুনরাবৃত্তির  মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রথাগত এআই স্থির  বা মূলত তত্ত্বাবধানে থাকা সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তাই এটি একক বা পূর্বনির্ধারিত ধাপ ব্যবহার করে থাকে, যেখানে এজেন্টিক এআই বহু-ধাপের  এবং গতিশীল যুক্তিভিত্তিক সূত্র অনুসরণ করে বহুমাত্রিক কাজ একসঙ্গে করতে পারে। 

সবশেষে, আমি বলতে চাই যে এজেন্টিক এআই ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রাহক পরিষেবা, ভ্রমণ পরিকল্পনা, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো ক্ষেত্রগুলোতে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। এটি এআইকে একটি নিষ্ক্রিয় সহকারী থেকে সক্রিয় সহযোগিতায় রূপান্তরিত করার বিশাল এক ইঙ্গিত আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে। যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত  যে কোনো কোম্পানিতে জটিল কাজগুলোকে বুদ্ধিমান অটোমেশন করতে সক্ষম। এ জন্য এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি আমাদের নতুন প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের বা ব্যবসার মালিকদের জন্য নতুন ফ্রিল্যানসিং ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাই আমি মনে করি এজেন্টিক এআইবিষয়ক জ্ঞান অন্বেষণ তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন করবে। তারাই ঠিক করবে কীভাবে এজেন্টিক এআইয়ের বাস্তবমুখী প্রয়োগ এবং সুবিধাদি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানদেরকে আকৃষ্ট করবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, আবারো ভবিষ্যতে অন্য কোনো এআইয়ের ধারণা নিয়ে আলোচনা করব বলে আশা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

লেখক: প্রফেসর অফ বিজনেস এনালিটিক্স এন্ড অ্যাপ্লাইড এআই
উপপরিচালক, সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড এন্ড রেস্পন্সিবল এআই
নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া

কেকে/এজে
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কচুরিপানার নিচ থেকে পায়ের কঙ্কাল উদ্ধার
শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে হাবিপ্রবি শস্যবৃত্ত
চুরাইকৃত মোটরসাইকেলসহ দুই চোর ধরা ভালুকায়
নিটার হোস্টেলে সাপের উপদ্রব, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

সর্বাধিক পঠিত

মানবিক সোনারগাঁও গড়তে চাই : ড. ইকবাল
ঢাকা-১১ আসনকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলব : ফজলে বারী
বাঞ্ছারামপুরে জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ১০
সোনারগাঁয়ে পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, পরিবারে আতঙ্ক
চুরাইকৃত মোটরসাইকেলসহ দুই চোর ধরা ভালুকায়

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close