সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
ফিচার
খালিয়া পাবলিক লাইব্রেরি
ধানের মাঠে জ্ঞানের বাতিঘর
শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

চারপাশে সবুজ ধানক্ষেত, নদীর হাওয়া আর নীরব বিকেল—এর মাঝেই মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, খালিয়া পাবলিক লাইব্রেরি ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে ওঠা এই ছোট্ট গ্রন্থাগারটি যেন হয়ে উঠেছে জ্ঞানের নীরব শিক্ষক।

ঢাকা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এবং উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরের এই লাইব্রেরি ২০২০ সালে স্থানীয় কিছু বইপ্রেমীর উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এখানে রয়েছে প্রায় ২ হাজার বই ও ম্যাগাজিন—গল্প, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিশুতোষ সাহিত্য থেকে শুরু করে সমকালীন নানা বিষয়ের ওপর।

বইগুলোর বেশিরভাগই এসেছে সরকারের সহায়তা ও স্থানীয় দাতাদের অনুদানে। প্রতিদিন এখানে আসেন ডজনখানেক পাঠক—কেউ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য, কেউ চাকরির তথ্য জানতে, কেউবা কেবল মনকে হালকা করতে।

১৯ বছর বয়সী আয়েশা বেগম, যিনি চাকরির সন্ধানে আছেন। তিনি বলেন, এই লাইব্রেরিটা আমাদের জন্য জানালার মতো। এটা না থাকলে আমরা কিছুই শিখতে পারতাম না।

লাইব্রেরিটি আশপাশের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত। এটি কেবল পাঠাগার নয় বরং একটি কমিউনিটি হাব, যেখানে চলে পাঠচর্চা, কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরিমুখী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

গ্রন্থাগারটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল বুক সেন্টারে নিবন্ধিত। মাঝে মাঝে সরকার থেকে বই ও অল্প কিছু অনুদান বা উপকরণ পাওয়া যায়। তবে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থের অভাব।

স্বেচ্ছাসেবী লাইব্রেরিয়ান হাসানুর রহমান জানান, গত মাসে প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল লাইব্রেরি, কারণ বিল পরিশোধের টাকা ছিল না। দর্শনার্থীদের দানেই কোনোভাবে টিকে আছে। প্রতিদিনই চলে সংগ্রাম।

এদিকে খালিয়া লাইব্রেরি এখনো বেঁচে আছে এক অনন্য আশাবাদের গল্প হয়ে। সন্ধ্যা নামলে যখন ছোট্ট ঘরের একমাত্র বাতিটি জ্বলে ওঠে, কয়েকজন পাঠক নীরবে বসে বইয়ের পাতায় ডুবে যায়—যেন অন্ধকারের মধ্যে আলোর খোঁজ।

কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে, যেখানে অনেক তরুণ শহরে চলে যায় জীবিকার খোঁজে, সেখানে এই লাইব্রেরি শুধু বই নয়— আশা, স্বপ্ন ও জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

লাইব্রেরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক খিজির হায়াত বলেন, আমরা চাই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়াক। গ্রামীণ লাইব্রেরিতে বিনিয়োগ মানে হচ্ছে আলোকিত বাংলাদেশ গড়া।

কেকে/ আরআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  পাবলিক লাইব্রেরি   খালিয়া  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

ফিচার- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close