শরতের আগমনী হাওয়ায় প্রকৃতির ক্যানভাসে লেগেছে এক নতুন রঙের ছোঁয়া। সেই শুভ্রতার প্রতীক কাশফুলে ভরে উঠেছে মহম্মদপুরের মধুমতি নদীর তীর। দিগন্তজোড়া কাশফুলের সাদা সমারোহ যেন নদীর চিরন্তন সৌন্দর্যকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। শরতের নির্মল নীল আকাশ আর নদীর ধারের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী এখন প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক স্বর্গীয় অরণ্যে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের কাছে ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত মধুমতি পাড় এ মুহূর্তে রূপ নিয়েছে এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কেউ কাশফুলের শুভ্রতায় হারিয়ে যাচ্ছেন, কেউ আবার তুলে নিচ্ছেন প্রিয়জনের খোপায় বা হাতে সাজানোর জন্য। প্রকৃতির অপার মহিমাকে ক্যামেরাবন্দি করতেও দেখা যাচ্ছে অসংখ্য দর্শনার্থীকে।
কাশফুলে সেজেছে মধুমতি পাড়। ছবি : খোলা কাগজ
নদী পাড়ের রেস্টুরেন্টগুলোতে ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা খাবারের ফাঁকে কিংবা আড্ডার মাঝেও উপভোগ করছেন কাশফুলের মায়াবী শোভা। এছাড়াও, মধুমতির উপর নির্মিত ব্রিজটি পর্যটকদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ। এই ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে নদীর ধারের কাশফুল উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। দূর থেকে মনে হয়, নদীর দু'ধার যেন সাদা চাদরে মোড়ানো।
স্থানীয়দের মতে, প্রতি বছর শরৎ এলেই মধুমতি পাড়ের এই কাশফুল পর্যটকদের টানে। প্রকৃতির এই ক্ষণস্থায়ী কিন্তু মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যকে স্মৃতিতে ধরে রাখতে মানুষের এই বাঁধভাঙা ভিড়ই প্রমাণ করে, যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি কাটাতে কাশফুলের শুভ্রতা এখনো মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়।