রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর শ্যামলী শিশু মেলার সামনে মিছিল এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পতিত আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। এ সময়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল করে। মিছিলে যোগ দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় প্রায় দুইশ লোক মিছিল অংশগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ প্রায় দুই থেকে তিনশ লোক একসঙ্গে মিছিলে যোগ দেন এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানো হয় মিছিল থেকে। এছাড়াও তাদের দলীয় স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এটাই মনে মনে হয় বড় মিছিল ছিল আজকে, মিছিল করার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এলাকাটিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় মিছিলকারীরা। এসময় কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শেরেবাংলা নগর এলাকায় এই নিয়ে কয়েকবার মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন। এছাড়া ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এর আগে মিছিল করতে দলটির নেতৃবৃন্দরা।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাউল হক মুঠোফোনে খোলা কাগজকে জানান, সকাল ৮টার দিকে একটি মিছিল করে আওয়ামী লীগের লোকজন, এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, ঘটনাস্থান থেকে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয।
তিনি আরো জানান, তাদের বিষয় যাচাইয়ের পর জানতে পারবো—কে কোন দল করে অথবা দল করে কিনা। আমারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ককটেল বিস্ফোরণে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গণ আন্দোলনে ক্ষমতা হারিয়ে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিন দিন পর ৮ অগাস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে গ্রেফতার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে থাকা অন্যদলগুলোর কয়েকজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অধিকাংশই রয়েছেন আত্মগোপনে। ফলে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তারা নেই। কিন্তু থানা ও ওয়ার্ড নেতারা রয়েছে সক্রিয় অবস্থানে। তারা মাঝে মধ্যেই মিছিল রাজপথে নামে।
কেকে/এজে