বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পেশাগত ৫ দফা দাবিতে সোচ্চার স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সরকারি বেসরকারি শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও অংশীজনেরা।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাধ্যমিকে যারা শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করছেন সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। তাই এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড দিয়ে চারস্তরীয় পদসোপান এই সেক্টরকে সমৃদ্ধ করতে পারে। অন্যথায় মেধাবীরা এই পেশায় আকৃষ্ট হবে না।
এসময় তিনি পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে চাকুরির বিধি অনুসরণ পূর্বক বিভাগীয় পর্যায়ে বৃহত্তর শিক্ষক সমাবেশের ঘোষণা দেন।
এসময় আঞ্চলিক উপপরিচালকদের ডিডিও ক্ষমতা কলেজ শিক্ষক কেড়ে নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকার খর্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা।
সবুজবাগ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবদুস সালাম হতাশা নিয়ে জানান, আপিল বিভাগের চুড়ান্ত রায়ের পরেও বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাউশিতে কাজের চাপ বেশি থাকায় আলাদা স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করে সরকারের প্রশাসনিক ক্ষেত্রকে আরো ছড়িয়ে দিলে মাধ্যমিক শিক্ষার মানসম্মত উন্নয়ন সম্ভব বলে জানায় থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (মতিঝিল)।
মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সময়মতো পদোন্নতি ও নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারি মাধ্যমিক অধিকাংশ শিক্ষক একই পদে চাকুরি শেষে চরম ক্ষোভ নিয়ে অবসরে চলে যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান সমন্বয়ক রেবেকা সুলতানা, শিক্ষক নেতা মঞ্জুরুল হক, সিকান্দার আলী খান, মো. আবু সাঈদ মোল্লা, মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মো. হারুন-অর-রশিদসহ সরকারি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষানুরাগী, গুণীজন, অভিভাবক, শিক্ষার্থী প্রমুখ।
কেকে/ এমএস