রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৩৪ নং ওয়ার্ডের রায়েরবাজার এলাকায় সাদেক খান সড়কটি এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান থাকলেও এখনো শেষ হয়নি ঢালাইয়ের কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনেজ লাইনের কাজ শেষ হলেও রাস্তা সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে চলছে। বৃষ্টি হলে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল একেবারেই দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। গত দুই মাস ধরে চলমান পাইপলাইন সংযোগের কাজও শেষ না হওয়ায় রাস্তাটির অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু সাদেক খান সড়ক নয়, বেড়িবাঁধ সড়কও বেহাল অবস্থা। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে সাদেক খান পাম্প পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও বেহাল। প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক, লেগুনা, অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করে এই রাস্তায়। গাবতলী থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত সংযোগের অন্যতম পথ হলেও সড়কটির খানাখন্দে ভরা অংশগুলো এখন প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ওয়ার্ডে কমবেশি ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো লোকজন বসবাস করে। বেহাল অবস্থায় রয়েছে বেড়িবাঁধ সড়ক, সাদেক খান সড়ক, সাদেক খান পাম্প থেকে বামে নামার জিয়া সড়ক, বৈশাখী মাঠ সড়ক ও পুলপাড় সেভেন সি গার্মেন্টস গলির নতুন রাস্তাটিও বেহাল অবস্থা।
এছাড়া ওয়ার্ডটিতে গ্যাস সংকটও একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সকালে গ্যাসের চাপ না থাকায় রান্না করা যায় না ফলে অনেক পরিবারকে বাইরে থেকে নাস্তা কিনে খেতে হয়। বিকেল ৩ টার পর গ্যাস আসায় সারাদিন দুর্ভোগে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। এতে অতিরিক্ত খরচ বেড়ে যাচ্ছে, অনেকের মাসিক আয়ের বড় অংশ খরচ হচ্ছে শুধু খাবার কিনে খাওয়ার পেছনে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সড়ক সংস্কার ও গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা না হলে রায়েরবাজারবাসীর ভোগান্তি আরও চরমে পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান খোলা কাগজকে জানান, রায়েরবাজার সাদেক খান সড়কের এই রাস্তাটি মমতাজ ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্করণের কাজ করছে, কাজের মেয়াদ রয়েছে ২৬ সাল পর্যন্ত।
তিনি আরও জানান, রাস্তাটি সেটেলমেন্ট করতে সময় লাগবে। সেটেলমেন্ট না হলে রাস্তাটি ডেবে যাবে। তাই একটু সময় লাগছে। বেড়িবাঁধের সড়কটি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় না, এটি সড়ক পরিবহনের আওতায়। ওই রাস্তা সংষ্কার করবে সড়ক পরিবহন। এটি সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে না।
কেকে/ আরআই