রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা-১৩ আসনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ছাত্র, যুব ও নাগরিক সমাবেশ ও নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে মোহাম্মদপুর টাউন হল সংলগ্ন শহীদ পার্ক মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম এবং ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী মোবারক হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নেতারা বলেন, দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলোর ‘দুর্নীতি, অপশাসন ও রাজনৈতিক অনিয়মের’ কারণে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে।
বক্তারা দাবি করেন, অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতীকের শাসন দেখার পর এবার দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।
ঢাকা-১৩ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী মোবারক হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সেবা নিশ্চিত করবো, কিশোর গ্যাং নির্মূল করবো, খেলার মাঠ ও গণসুবিধামূলক স্থাপনা নির্মাণ করবো। মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অন্যান্য বক্তারা দাবি করেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও প্রত্যাশিত সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারা বলেন, ক্ষমতায় গেলে দলটি দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে নাগরিকদের জন্য ‘সুন্দর রাষ্ট্র’ গড়ে তুলবে।
নেতারা আরো জানান, ‘জামায়াতে ইসলামী ভোট চায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক নির্বাচন চায়।’ পাশাপাশি ভবিষ্যতে নির্বাচন বানচাল করার কোনো প্রচেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার কথাও উল্লেখ করেন তারা।
উল্লেখ্য, ইসলামি ধর্মতাত্ত্বিক ও দার্শনিক সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদুদী ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারতের পাকিস্তান অংশে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের পাশাপাশি এটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সংগঠনটি ভারত, পাকিস্তান ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে স্বাধীন শাখায় বিভক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এছাড়াও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ ভাগ হওয়ার সময়ে এই দলটি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। স্বাধীনতার পর এই দল এককভাবে ক্ষমতায় আসেনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোট করে এই দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতারা সংসদে জান এবং মন্ত্রীও হয়েছিল দলটির কয়েজন কেন্দ্রীয় নেতা।
নেতারা জানান, তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়বে। সকল ধর্মের ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথাও উল্লেখ করেন সমাবেশে।
কেকে/ এমএস