দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে এখনো বহাল তবিয়তে সক্রিয় রয়েছে বিগত সরকারের সময় বরাদ্দ পাওয়া একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস অতিক্রান্ত হলেও এসব বরাদ্দ বাতিল কিংবা পুনর্বিন্যাসের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ ও সংশয়।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নাহার কনস্ট্রাকশনস, শিরিন এন্টারপ্রাইজ, হাওলাদার অ্যান্ড সন্স, অথৈ এন্টারপ্রাইজ, মাহবুবা ট্রেডার্স, ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট ট্যুরিস্ট অ্যান্ড কার সার্ভিস, সজল এন্টারপ্রাইজ, এভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিগত শাসনামলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা বা প্রভাবশালী মহলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন, আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। কিন্তু তাদের বরাদ্দকৃত জায়গাগুলোতে ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি যা প্রশাসনিক উদাসীনতার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং নীতিগত সিদ্ধান্তহীনতা নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অস্বচ্ছ বরাদ্দপ্রক্রিয়া ও প্রভাবশালীদের আধিপত্যের অবসানে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বেবিচকের গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনর্মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া খোলা কাগজকে বলেন, ‘এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব সহকারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কেকে/ এমএস