শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫,
৭ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ফের পিএস বিতর্কে আসিফ      ভাগ পেতেন ডিসি-এসপিরাও      রাজস্ব খাতের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞরাই      ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল      সাগর-রুনির পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হলো রাজউকের প্লট      মহানবী (সা.) এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল: ধর্ম উপদেষ্টা       নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জরুরি      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
বিশ্বজুড়ে অস্থির সময় : একটি বিশ্লেষণ
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
প্রকাশ: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ পিএম

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। প্রযুক্তিগত বিপ্লব যেমন নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, তেমনি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত, জলবায়ু সংকট, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক অস্থিরতা মানবজাতির অস্তিত্বকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার জন্য এক একটি ক্যানসার।  যা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি। আজকের আলোচনায় আমরা সমসাময়িক বিশ্বের প্রধান প্রধান ধ্বংসাত্মক প্রবণতাগুলো নিয়ে গভীর, তথ্য-সমৃদ্ধ এবং বিস্তৃত আলোচনা করব, যা আগামী দিনের বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুধাবনে সহায়ক হবে।

বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে অত্যন্ত ভঙ্গুর। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ এবং রাশিয়ার প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো স্নায়ুযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মূলত এ যুদ্ধে রাশিয়া একাই ইউরোপ এবং আমেরিকার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও তলে তলে ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ রাশিয়াকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বরং অদূর ভবিষ্যতে এ আঞ্চলিক সংঘাত যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না।

মধ্যপ্রাচ্যকে পুরো পৃথিবীর হৃৎপিণ্ড বললেও অত্যুক্তি হবে না। আর সেই মধ্যপ্রাচ্য বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি টালমাটাল অবস্থায় আছে। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস, কোন্দল এবং যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করার মানসিকতার জন্য পুরো মধ্যপ্রাচ্য আজ একটি জ্বলন্ত কড়াই। সরাসরি মার্কিন মদদপুষ্ট ইসরায়েলি হানাদর বাহিনীর অবিচার আর অত্যাচারে ফিলিস্তিনিরা যখন ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার শিকার; তখন মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতালিপ্সু তাঁবেদার শাসকগোষ্ঠীর তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।  

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, শুধু গাজায় যে পরিমাণ বোমা পড়েছে; তা  প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়েও বেশি। ভাবা যায়! যায় না। কোনো সুস্থ এবং বিবেকবান মানুষের পক্ষে তা সহ্য করা সম্ভব নয়। তবুও মধ্যপ্রাচ্যের মোড়লদের টনক নড়েনি। তারা এখনো জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। তারা এখনো বুঝতে পারছেন না, আজকে যে আগুনে ফিলিস্তিন পুড়ছে; এখনই প্রতিকার না করলে কাল সেই আগুনেও তারাও পুড়বেন। গোটা মধ্যপ্রাচ্যের কেউ নিরাপদ থাকবে না। ইরান, ইরাক, লেবানন,  ইয়েমেন, সিরিয়া তো এখনই বারুদের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় সেই বারুদ গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

শুধু এখানেই শেষ নয়; আফ্রিকা অঞ্চলের সংঘাতও আঞ্চলিক এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে আফ্রিকানরা চিরকাল অবহেলিত, নিপীড়িত এবং শোষিত : সেই আফ্রিকান জাতীয়তা বোধ এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক প্রতিক্রিয়াশীল। তারা এখন আর বাইরের শাসন, শোষণ, নিপীড়ন সহ্য করতে প্রস্তুত নয়। তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠছে। তারা ক্রমেই প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। নিজেদের ভাগ্য এখন তারা নিজেরা গঠন করতে শিখছে। তাদের এই পুনরুত্থান নিশ্চিতভাবেই এক দিন আফ্রিকা মহাদেশে আধিপত্যবাদের কবর রচনা করবে। ঔপনিবেশিক শক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদীরা সমূলে আফ্রিকা থেকে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। হয়ত এর জন্য তাদের রক্তমূল্য পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু বিজয় তাদের হবেই।

এ ছাড়া পাকিস্তান-ভারত, চীন-ভারত এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আন্তঃসম্পর্ক এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে জঘন্য এবং অস্থিতিশীল। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং অবিশ্বাস চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর এ অস্থিতিশীলতা কেবল রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নেই; বরং দেশগুলোর সাধারণ জনগণের মধ্যেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব অনলাইন এবং অফলাইন মিডিয়ায় এখন যে হারে পরস্পরের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে; যা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।

এই সংঘাতগুলো কেবল বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে না, বরং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। জ্বালানি তেলের দামের অস্থিরতা, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, স্বর্ণবাজারসহ কৃষিপণ্য সরবরাহে বিঘ্ন বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে চাপ সৃষ্টি করছে। সাইবার যুদ্ধ, তথ্য যুদ্ধও ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো এবং জনমতের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর ভবিষ্যতের হুমকি নয়, বরং এটি বর্তমানের একটি কঠিন বাস্তবতা। গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার বিপর্যয়সংক্রান্ত ঘটনাগুলোর তীব্রতা ও সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি ও বন্যা, দীর্ঘস্থায়ী খরা, তীব্র তাপপ্রবাহ, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মানববসতি, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনর্বাসনের ব্যয় অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। অনেক অঞ্চলে মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হচ্ছে, যা নতুন করে সামাজিক ও মানবিক সংকট তৈরি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে, কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলো এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কম সক্ষম। প্যারিস চুক্তির মতন আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও অনেক দেশই তা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস যেমন সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রসারে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।

অর্থনৈতিক সমস্যা ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি, ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি অধিকাংশ দেশের অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। উন্নত দেশগুলোতেও উচ্চ সুদের হার এবং ঋণের বোঝা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি, খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়কে আশঙ্কাজনক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট ধনীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করলেও দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সংকট আরো গভীর করেছে। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয়ের ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে, যা সামাজিক অস্থিরতা এবং ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। কর্মসংস্থানের অভাব, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব, সামাজিক সংহতিকে দুর্বল করছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো বিদেশি ঋণ পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যা তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তবে কিছু উদীয়মান অর্থনীতি নিজেদের শক্তিশালী করে তুলছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির কেন্দ্রে চলে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, বায়োটেকনোলজি এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তিগুলো মানব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে। স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায়, কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে, শিক্ষায় নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবনে এবং শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্রযুক্তিগুলো বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হচ্ছে এবং তথ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য হচ্ছে।

প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয়করণ এবং এআই-এর কারণে অনেক প্রচলিত পেশা বিলুপ্ত হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ডিজিটাল বিভাজন তৈরি হচ্ছে, যেখানে প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়ছে। এআই-এর নৈতিক ব্যবহার, অ্যালগরিদম পক্ষপাত এবং স্বায়ত্তশাসিত অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর আলোচনার প্রয়োজন। এসব কারণে বিশ্বে সামাজিক মেরূকরণ ও নাগরিক অস্থিরতা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে সামাজিক বিভাজন এবং মেরূকরণ বাড়ছে। জাতিগত, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।

তা ছাড়া অনেক দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব এবং জনমতের চরম মেরূকরণ দেখা যাচ্ছে। পপুলিজম বা জনতুষ্টিবাদ বেড়েছে, যা গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্রুত বিস্তার একদিকে যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রসারিত করেছে, তেমনই অন্যদিকে ভুল তথ্য (মিসইনফরমেশন) এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (হ্যাট স্পিচ) প্রচার বেড়েছে। এটি জনমতকে প্রভাবিত করছে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। অনেক দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। প্রতিবাদ ও ভিন্নমত দমনের ঘটনা বাড়ছে, যা নাগরিক সমাজের জন্য উদ্বেগজনক।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভবিষ্যতের প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়। কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বকে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বকে আরো প্রস্তুত থাকতে হবে। জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো শক্তিশালী করা, সংক্রামক রোগের গবেষণা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা এবং দ্রুত টিকা ও ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মানসিক স্বাস্থ্য সংকটকেও বাড়িয়ে দিয়েছে। উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।

সবশেষে বলতে চাই, বর্তমান বিশ্ব সকালে বৃষ্টির পর বিকালে রোদের মতোই অপ্রত্যাশিত ও দ্রুত পরিবর্তনশীল। যদিও প্রতিটি সংকট নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়। তবে এর জন্য প্রয়োজন দূরদর্শিতা, সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস এবং প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করা মানবজাতির জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগই কেবল পারে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে।

 লেখক : প্রাবন্ধিক ও বিশ্লেষক

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ফের পিএস বিতর্কে আসিফ
ভাগ পেতেন ডিসি-এসপিরাও
রাজস্ব খাতের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞরাই
কুমিল্লায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

মদনে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় সাবেক কমিশনার গ্রেফতার
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৃষি সংস্কার ও খাদ্য নিরাপত্তার অভিযাত্রা
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে আলু ব্যবসায়ীর মৃত্যু
‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস
জামালপুরে পূবালী ব্যাংকের সহযোগিতায় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close