পতিত আওয়ামী লীগের দোসরদের দায়ের করা মামলায় প্রকৌশলী মো. শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানো প্রতিবাদে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এবং এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও এ্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব প্রকৌশলী শোয়েব বাশরী হাবলু, সদস্যসচিব প্রকৌশলী কাজী ফজলুল করিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী শাহ্ খালেদ হাসান চৌধুরী পাহিন, এ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মঈদ রুমী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নূরু ও প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ।
এছাড়া ছিলেন, আইইবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মিয়া মোহাম্মদ কাইউম, সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুর রউফ, কুয়েট ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস প্রকৌশলী তারিকুজ্জামান শাহীন, এ্যাব নেতা প্রকৌশলী আলিমুল বাহার রিপন, বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী মিঠুল ও প্রকৌশলী শাহাদাত আহমেদ মাসুম, সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রকৌশলী ইমরান, প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হানসহ আরো অনেকে।
আয়োজিত এ মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক ধারায় দুই-তিন বছর ও পাঁচ বছর মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
কেকে/এআর