ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আমনে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

নরসিংদী প্রতিনিধি
🕐 ১:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

নরসিংদীর পলাশে রোপা আমন ধানের জমিতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে মরে যাচ্ছে ধানগাছ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলার কথা থাকলেও এখন এই ফসল থেকে দেনা শোধ করতে পারবেন কিনা সেই চিন্তায় মগ্ন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে পলাশ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন হাজার ছয়শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে তিন হাজার পাঁচশত ৯০ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে এখন আসতে শুরু করেছে ধানের ছড়া। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলার কথা কৃষকের।

গকুল নগর এলাকার কৃষক কামাল ভূইয়া জানান, তিন বিঘা জমি করছি বর্গা, তিন বিঘা জমিই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করেছি, আমি নিজেই কী নিব, জমির মালিককেই বা কী দিব। কৃষি অফিসারকে জিজ্ঞেস করছি, কৃষি অফিসার বলছেন ওষুধ দেয়ার জন্য, ওষুধ দিছি, দেয়ার পরই কোন কাজ হয়নি। এখন আমি লসের পথে। আশপাশের কৃষকরাও জানান, পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণের এক সপ্তাহের মধ্যে মরে যাচ্ছে ধান গাছ। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

এলাকার মাঠকর্মী শাহনেওয়াজ জানান, আমাদের কিছু কিছু জমিতে পাতা মোড়ানো রোগ আছে, যা খুবই সামান্য। পাতা মোড়ানো রোগটার জন্য অনুমোদিত বালাইনাশক দেয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। পোকা পাতাটাকে মুড়িয়ে রেখে ভেতর থেকে আস্তে আস্তে খেয়ে ফেলে। এতে সমস্ত পাতাটা হলুদ হয়ে যায়, এজন্য দূরে থেকে দেখলে মনে হবে যে গাছের পাতা হলুদ হয়ে গেছে। আমাদের জমিতে পার্চিং আছে এবং অল্প পরিমাণ জমিতে আছে। কৃষকদেরকে অনুমোদিত বালাইনাশক তিন বার দিতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম জানান, রোপা আমন ক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণের কথা স্বীকার করলেও তবে খুব সামান্য বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। পোকা দমনে কৃষকদের অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 
Electronic Paper