ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি মালিকানায় রাখা যাবে না

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি মালিকানায় রাখা যাবে না

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ পাস হয়েছে। পাস হওয়া আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখতে পারবেন না। এমনকি উত্তরাধিকার সূত্রে বেশি জমি পেলেও ৬০ বিঘা কৃষিজমি রেখে অতিরিক্ত জমি ছেড়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত কৃষিজমি নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকার খাস করে নিতে পারবে।

 

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কেউ তার বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে আরও ৬০ বিঘা বা কমবেশি কৃষিজমি পেলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া কৃষিজমি এবং তার নিজের কৃষিজমির মধ্য থেকে তার সুবিধামতো সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা জমি রাখতে পারবেন।

তিনি বলেন, একসময় জমিদারদের অধীনে অধিকাংশ জমি ছিল। কিন্তু ১৯৫০ সালে নতুন নিয়ম করে বলা হয়, কারও ৩৭৫ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কমিয়ে ১০০ বিঘা করেন। আর ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা ৬০ বিঘা করেন। কিন্তু অধ্যাদেশের আলোকে বিধিমালা না হওয়ায় এটি এত দিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন নতুন আইন করে সরকার তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যার মূল কথা হলো কোনো একক ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না।

তবে সমবায় সমিতিসহ ৮টি ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি না রাখার বিধানটি নতুন নয় জানিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৪ সালে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশও ছিল। কিন্তু ৪০ বছরেও বিধিমালা না হওয়ায় সেটি বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনের সময়ে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল করে এখন নতুন করে আইন করা হচ্ছে। তাতেও ওই বিষয়টি রয়েছে।

 
Electronic Paper