নারায়ণগঞ্জে বিচারপ্রার্থী এক দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় অবশেষে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁনকে হুকুমের আসামী করে মামলা হয়েছে। আহত রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাখাওয়াত হোসেন খাঁন ছাড়া আরও ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এর আগে গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা ও তার পরিবারের সদস্যরা মামলা গ্রহণের দাবিতে থানা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। মামলা না নিলে তিনি থানা প্রাঙ্গণ ছাড়বেন না বলে হুমকি দেন। মামলার আবেদনে এড. সাখাওয়াতের নাম থাকায় মামলা রুজু করতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী ইরফান মিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইসমাইলের কাছে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। টাকা ফেরত না পেয়ে তারা আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে নতুন কোর্ট এলাকায় উপস্থিত হলে প্রধান অভিযুক্ত এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁনের নির্দেশে ইসমাইলসহ আরও কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে রক্তাক্ত জখম করে।
রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, হামলার সময় তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীরা তার স্বামীর কাছ থেকে নগদ ৬৫ হাজার ৫২৭ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন (ইনফিনিক্স ও ভিভো) এবং তার গলা থেকে ১ ভরি ৩ আনি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে ছেলে জিদান ও আব্দুল্লাহ এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়।
অন্যদিকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন। তিনি বলেন, “আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কারণ ঘটনার সময় আমি ওই এলাকায় ছিলাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আমাকে দেখাও যায়নি।”
এদিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন আইনজীবীরা।
কেকে/ আরআই