গাজীপুর–কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাপাসিয়া অংশে সরকারি যাত্রী ছাউনিগুলোর বেহাল দশা জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। কোথাও দখল, কোথাও ভেঙে পড়ার উপক্রম, আবার কিছু ব্যস্ত বাজারে ছাউনি নির্মাণই হয়নি।
টোক নয়নবাজারের সরকারি ছাউনিটি দখল করে রেখেছেন একজন বাইসাইকেল মেকানিক। ফলে যাত্রীদের বসা বা আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। লতাপাতা বাজারের ছাউনিটি ঝরা-জীর্ণ, মরিচা ধরা পিলার ও ভাঙা বেঞ্চের কারণে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমরাইদ বাজারের ছাউনির অবস্থাও একই রকম।
অন্যদিকে বীর উজলী বাজার, তরগাঁও মোড় ও কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ডের মতো ব্যস্ত স্থানে কোনো ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শত শত যাত্রীকে। নারী, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, যাত্রী ছাউনি কেবল বিশ্রামের স্থান নয়, এটি জনপরিবহন ব্যবস্থার শৃঙ্খলার প্রতীক। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পিতভাবে নতুন ছাউনি নির্মাণ হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা কমানো সম্ভব।
স্থানীয় যাত্রী নুরুল আমিন বলেন, “রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছাউনি থাকা জরুরি। কিন্তু অনেক ছাউনিই দখল বা জীর্ণ হয়ে ব্যবহারযোগ্য নেই।”
ঢাকা যাওয়ার পথে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ডের এক যাত্রী মোসলেম উদ্দিন বলেন, “আগে এখানে ছাউনি ছিল। রাস্তা প্রসারিত করতে সেটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন নতুন ছাউনি নির্মাণ প্রয়োজন।”
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না তাসনীম বলেন, “ছাউনিগুলো দ্রুত দখলমুক্ত ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ব্যস্ত বাজারগুলোতে নতুন ছাউনিও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।”
কেকে/ আরআই