রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা ফিউচার হাউজিং এলাকায় গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও নগদ চার লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে কথিত শ্রমিক দল নেতা ফিরোজ ওরফে ক্যান্তা ফিরোজের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ফিউচার হাউজিং এলাকার ৪০ ফিট সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিক ভুক্তভোগী মনির হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মনির হোসেন জানান, ফিরোজ ও লিটনসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র হাতে গ্যারেজে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে তারা গ্যারেজ থেকে পাঁচটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং বিদ্যুৎ বিলের জন্য রাখা চার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ পত্রে মনির বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে ফিরোজ আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দেওয়ায় আজ সে দলবল নিয়ে গ্যারেজে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ ওরফে ক্যান্তা ফিরোজ শ্রমিক দল নেতা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।
দখল ও চাঁদাবাজির হাত থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতারাও রেহাই পাচ্ছেন না। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন জানান, ফিরোজ তার একটি ভবনে হামলা চালিয়ে অফিস জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তিনি গত সপ্তাহে থানায় অভিযোগ দেন।
“রোববার রাতে ফিরোজকে পুলিশ আটক করলেও পরে আপষের শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সে আবার অফিসের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়।”
এসব বিষয়ে খোলা কাগজের হাতে একাধিক অডিও ও ভিডিও এসেছে। একটি অডিওতে তাকে ফিউচার হাউজিং এলাকার এক নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
তিনি জানান, ‘শ্রমিক দলের কর্মসূচি উপলক্ষে চাঁদা দিতে হবে।
এ বিষয়ে শ্রমিক দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “ফিরোজ শ্রমিক দলের কেউ নন। তার কোনো দলে পদও নেই।”
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ সূত্র জানায়, ফিরোজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে।
থানার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যারা তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বা চাঁদার দাবি পেয়েছেন, তারা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী থানায় এসে ফিরোজসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ টিম পাঠানো হয়েছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এমএ