দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে বন অধিদপ্তরের ৪৫৪ জন ফরেস্টারকে ডেপুটি রেঞ্জার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা, কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদ এই পদোন্নতিকে বন প্রশাসনে যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনগুলো একযোগে উল্লেখ করেছে, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব ও প্রধান বন সংরক্ষকের দৃঢ় নেতৃত্ব এবং দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পদোন্নতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।’
বিএফএ জানিয়েছে, পদোন্নতি প্রক্রিয়াটি পাবলিক সার্ভিস রুলস অনুযায়ী গঠিত ডিপিসি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সব সিনিয়র কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয় ও আইন বিষয়ক প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে। এটি কোন ব্যক্তিগত প্রভাব বা পক্ষপাতের কারণে নয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিএফএ জানায়, সম্প্রতি পদোন্নতি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদ বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রভাবিত ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিএফএ ও বিডিপিবি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে—এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। বন প্রশাসনের ভেতরে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা একটি গুরুতর ভুল। এটি শুধু বনকর্মীদের মনোবল ক্ষুণ্ন করে না বরং, দেশের বন ও পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করে। দীর্ঘদিন বিলম্বিত পদোন্নতির পেছনে যেসব প্রশাসনিক জটিলতা ছিল, সেগুলো দূর করার জন্য সব প্রক্রিয়া আইন ও নিয়মের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদ সরকারের এই ধরনের স্বচ্ছ ও ন্যায্য পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার মান বজায় রাখা হবে, যাতে বন প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জনবান্ধব হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএফএ আরও জানায় এই পদোন্নতি কেবল এক প্রশাসনিক কার্যক্রম নয়—এটি বন রক্ষার প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতীক। এটি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোবল, কর্মদক্ষতা ও প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে। যে কোন মিথ্যা অভিযোগ বা অসত্য সংবাদ এই অর্জনকে ক্ষুণ্ন করতে পারবে না।
কেকে/এমএ