রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও আটজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন, ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আদনান পিপুল, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. আসিবুল হক অর্নব, ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব রহিম পলক, ফেনী জেলার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাকের আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী ইউনিট ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন ও ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন রহমান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ৫টার দিকে ঘটিকায় ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে একরাম হোসেন, আদনান পিপুল, আসিবুল হক অর্নব, সজিব রহিম পলক ও সাকের আলমকে গ্রেফতার করে।
একইদিন ডিবি রমনা বিভাগের একটি টিম বিকেল ৫টার দিকে গাবতলী এলাকা থেকে মো. জহুরুল ইসলামকে এবং রাত ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোকাররম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। এ ছাড়া বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে টিকাটুলি কে এম দাস লেন এলাকা থেকে ইয়াসমিন রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে—গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার মিছিল ও সংগঠিত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
কেকে/ আরআই