বরগুনার বামনা উপজেলায় ডিভোর্স দেওয়ার পর সাবেক স্ত্রী মামলা করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মো. জাকির ধলু নামে এক ইতালিপ্রবাসী। তার অভিযোগ, দুই পরিবারের সম্মতিতে ডিভোর্স হওয়ার পর এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছেন সাবেক স্ত্রী।
জাকির ধলু জানিয়েছেন, বামনা উপজেলার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জাকির ধলু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ইতালিপ্রবাসী হিসেবে কাজ করে আসছেন।
পরিবারের পছন্দমতে, ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর একই উপজেলার রামনা ইউনিয়নের কানিজ মাহমুদা রিমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর নামে আয়ের অর্থ পাঠাতে থাকেন। কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও একসময় তার স্ত্রী অন্যের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি স্ত্রীর কাছে পাঠানো সব অর্থ আত্মসাৎ করেন। স্বজনরা বিষয়টি জাকিরকে জানালে প্রথমে বিশ্বাস করেননি। একপর্যায়ে কাউকে কিছু না বলে দেশে চলে আসেন এবং স্ত্রীর প্রেমের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ অবস্থায় উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে ২০২৫ সালের ৭ মার্চ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কাবিনের অর্থও পরিশোধ করা হয়। বিচ্ছেদের এক মাস পরে হয়রানি করার জন্য জাকির, তার বাবা ও ভাইসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন সাবেক স্ত্রী। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে জাকিরের বাবা ও ভাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক। তবে জাকিরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে কানিজ মাহমুদা রিমা বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৫ সালে কাবিন করে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় আমার পরিবার সাধ্য অনুযায়ী নগদ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী দিয়া আমাকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেয়। দাম্পত্য জীবনে আমাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আমার স্বামী প্রবাসী তাই পারিবারিকভাবে সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বাহানায় আমাকে টাকা-পয়সার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে জাকির ও তার পরিবার। এমনকি আমার সন্তানের কোনও খোঁজখবর না নিয়ে আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ তোলে। পরে ডিভোর্স দেয়। একপর্যায়ে কোনও উপায় না পেয়ে মামলা করেছি। এরই মধ্যে মামলা থেকে জাকিরের বাবা ও ভাইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা তার নারাজি দিয়েছি।’
শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জাকির ধলু বলেন, ‘নির্যাতনের প্রশ্নই আসে না। আমি তো প্রবাসেই ছিলাম, তাকে কীভাবে নির্যাতন করবো। এসব মিথ্যা অপবাদ থেকে আমি মুক্তি চাই।’
কেকে/এজে