নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জামে মসজিদ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা ও রাঘববোয়ালদের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটি উদ্ধারের দাবিতে স্থানীয় মুসল্লি ও সচেতন নাগরিকদের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সোনাইমুড়ীর রেলওয়ে মসজিদটি এক সময় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নিরাপদ ও প্রশান্তির স্থান ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মসজিদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছেন।
এ সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সোনাইমুড়ীর নাওতোলা মৌজার ২৮৮ নং দাগে ৬১ শতাংশ ও একই দাগে ৩০ শতাংশ সম্পত্তি মসজিদের। ১৯৫৬ সনে স্থানীয় দানবীর মাওলানা মোখলেসুর রহমান এ সম্পত্তি মসজিদের নামে দান করেন। স্থানীয় ভূমি খেকো হাশেম ও চন্দন নামের এই চক্রের চোখে মসজিদের সম্পত্তির কু-দৃষ্টি পড়ে। তারা বর্তমানে বিভিন্ন নামে ও বেনামে দলিল সৃজন করে মসজিদের ৩০ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে রেখেছে।
শফিকুর রহমান আরো জানান, এই ঐতিহাসিক মসজিদটি দীর্ঘ দুই যুগ ধরে জরাজীর্ণ হওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না। বর্তমানে মুসল্লিদের ওজু খানা ও পুকুরের ঘাটলা বন্ধ করে দেয় এই ভূমি খেকো দখলবাজরা। এছাড়াও গভীর রাতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পুরো পুকুরটি ভরাট করে ফেলে। সম্প্রতি মসজিদের পুকুর থেকে এই চক্রের একটি গ্রুপ জোরপূর্বক কয়েক লাখ টাকার মাছ লুটে নেয়। এ সময় মসজিদ কমিটি ও মুসল্লীগণ বাধা দিলে মসজিদের কয়েকজন কমিটির সদস্যকে মারধর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা মসজিদের দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের দাবি ও সু-দৃষ্টি কামনা করেন, প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাইমুড়ী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল আরেফিন জাফর ও সহসভাপতি লাতু ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মুসল্লিরা।
কেকে/এজে