নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারলিপি দিয়েছেন আমিরাতে বসবাসরত বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসীদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন আহ্বায়ক কমিটি।দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং প্রস্তাবিত হাতিয়া জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, নোয়াখালী বিভাগের দাবিকৃত স্মারকলিপি তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেবেন।
এ সময় দুবাই মিশনের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে নোয়াখালী বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা, অর্থনৈতিক শক্তি ও প্রবাসীদের অবদান, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও সুষম উন্নয়ন, সমুদ্র অর্থনীতি ও উপকূলীয় উন্নয়নের সুযোগ এবং জনগণের আবেগ, আশা ও ন্যায্য অধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহে আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন সুমন, গাজী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম হিরন, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, নুর হোসেন সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য সচিব প্রকৌশলী এমএ মান্নানসহ আরো অনেকে।
আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহে আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষ একটি বিভাগ ঘোষণার প্রত্যাশায় রয়েছেন। এই দাবি রাজনৈতিক নয় এটি সাধারণ জনগণের মৌলিক প্রশাসনিক সুবিধা পাওয়ার ন্যায্য অধিকার। এই দাবিতে দেশ-বিদেশের নোয়াখালীবাসী একতা, ঐক্যবদ্ধ ও আশাবাদী। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং এই ঐতিহাসিক দাবির বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য, উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সুমন বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়! ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৭০ লক্ষাধিক প্রবাসী দেশের রেমিট্যান্স আয়ের একটি বিশাল অংশ নিশ্চিত করছেন। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় অংশ এই অঞ্চলের মানুষের ঘামে-গড়া শ্রমের ফসল, তাদের প্রিয় মাতৃভূমির নামে একটি বিভাগ ঘোষণা করা জাতির প্রতি তাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে প্রতিফলিত হবে।
কেকে/বি