চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম থানা যুবদল নেতা একরামুল হক একরামের ‘অস্থায়ী কার্যালয়ে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে নিয়মিতভাবে সরকারি এই অফিসের হলরুমে দলীয় কর্মসূচি পরিচালনা করছেন তিনি।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পরিষদের হলরুমে নবীন কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা সভা করেছে দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের একাংশ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক একরাম। ওই অংশটি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীরের অনুসারী বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টে দেখা যায়, অফিস বন্ধের দিনে তালাবদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম খুলে সেখানে ওয়ার্ড সদস্যদের চেয়ারে বসে নবীন ছাত্রদল কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছেন একরামুল হক একরাম। এমনকি তাকে প্রশাসকের চেয়ারে বসতেও দেখা গেছে। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘হলরুম ব্যবহারের বিষয়ে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
দায়িত্বরত চৌকিদার আব্দুস সালাম বলেন, ‘শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় আমি বাড়িতে ছিলাম। একরামের অনুসারীরা ফোন করে আমাকে ডেকে এনে জোর করে অফিস খুলে মেম্বারদের চেয়ারে বসে মিটিং করেন।’
ভূজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক একরাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আজ কোনো বৈঠক হয়নি, ছবিগুলো পুরনো হতে পারে।’
তবে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিষদের হলরুমে নবীন কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।’
ভূজপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল আমীন আজাদ বলেন, ‘দলীয় কার্যক্রমের জন্য আমাদের নিজস্ব কার্যালয় আছে। সরকারি অফিস ব্যবহার করা অনুচিত। বিষয়টি দলীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অনুমতি ছাড়া সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি।’
কেকে/এমএ