রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জুলাই জাতীয় সনদে সই করেছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটার পর জুলাই সনদ স্বাক্ষর শুরু হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সই করেন।
এর পূর্বে বিকাল সাড়ে চারটায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুহাম্মদ ইউনূস। বিকাল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গেল ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে হওয়া এসব আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়। এরপর এই ৮৪ প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদের খসড়া তৈরি করে ঐকমত্য কমিশন। খসড়ার ওপর ফের আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হয়।
সব দলের মতামত পর্যালোচনা করে জুলাই জাতীয় সনদ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গেল মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ আয়োজন করা হয়।
এদিকে, এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহতদের বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন জুলাই যোদ্ধারা।
কেকে/ এমএ