সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের সপ্তম বর্ষপূর্তী জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করা হয়েছে। মরুর বুকে বাংলাদেশের নারীদের বৃহত্তম সংগঠনের এই মিলনমেলায় মুগ্ধ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
শনিবার (৪ই অক্টোবর) আমিরাতের আজমান প্রদেশের উম্মে আল মুমিনীন ওমেনস এসোসিয়েশনে বিকাল থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই মিলনমেলা। সংগঠনের এ বার্ষিকী উদযাপনে আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তন্বী সাবরিন ও মহিউদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় লাবন্য আদিলের সভাপতিতেত্ব অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা শরিফা সৈনিক, নুসরাত সামী, ফাতিমা আহাদ, লিজা হোসাইন, সহসভাপতি শারমিন রাখী, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহেসিনা সুলতানা তানিয়া, নাসরিন সুলতানা, নাজমুন নাহার বুবলী, নাজ নাজমা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে লাবন্য্য আদিল বলেন, ব্যস্ত প্রবাস জীবনে আমরা শুধুমাত্র আনন্দ-বিনোদনের জন্য অনুষ্ঠান করি না। আমরা চাই, আমাদের এই ক্লাব প্রবাসে বাংলাদেশের নারীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হোক, যেখানে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়াবে এবং দেশের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে। সাতটি বছর পার করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই সফলতার পেছনে ক্লাবের সকল সদস্যের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা অনস্বীকার্য।
উপস্থিত সকল অতিথি ক্লাবের এই দীর্ঘ পথচলার প্রশংসা করেন এবং প্রবাসে নারী সমাজের জন্য তাদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দীর্ঘ সাত বছরের পথপরিক্রমাকে স্মরণ করে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন ও উদ্যোক্তাদসহ ২৫ জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর ক্লাবের পক্ষ থেকে ৭ বছর পূর্তির কেক কাটা হয়। এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লোকনৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নানা ধরনের খেলাধুলা। বিশেষ করে, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে শিশু-কিশুদের পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাস জীবনে নিজেদের মধ্যে একাত্মতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে বাঙালি সাজে আলাদাভাবে সাজানো হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণ। স্টলগুলো সাজানো ছিল দেশীয় শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সমাহারে। বিভিন্ন স্টলে ছিল জামদানি, কাতান, হাতে আঁকা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং দেশীয় হস্তশিল্পের নজরকাড়া সংগ্রহ। ছিল হরেক রকমের পিঠা-পুলি ও ঐতিহ্যবাহী লোকখাবারের স্টল। প্রবাসীরা যেন দেশের আসল স্বাদ খুঁজে পাচ্ছিলেন।
কেকে/ এমএস