রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের পাশে সরকার সবসময় আছে এবং আমরাও পাশে থাকবো। সরকার জুলাই সনদের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে পাঁচ আগস্ট হয়তো ঘোষণা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ছোটখাটো দ্বিমত থাকলেও তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এই ঐক্যমত বাংলাদেশের জন্য একটি শুভ সংবাদ।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ ও জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গত বছর জুলাইয়ে কী হয়েছিল তা আমাদের সকলের স্মৃতিতে সংরক্ষিত আছে। আজ আপনারা সেই স্মৃতিগুলো শেয়ার করে আবার জাগিয়ে তুললেন। এখন আমাদের করণীয় হছ দেশকে সংস্কার করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের একটা পরিচয় হওয়া দরকার এবং সে পরিচয়ে সকলে এক থাকবে। সে পরিচয়ের বিভিন্ন নাম দিলে তা আবার বিভিন্ন রকম মনে হবে। নামটা যদি হয় জুলাইযোদ্ধা তাহলে সবাই এক প্লাটফর্মে থাকবে। একেক জনের দল মত ভিন্ন হতেই পারে কিন্তু নাম একটা হওয়া দরকার বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জুলাই আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও গুরুতর আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে জুলাই নিয়ে নির্মিত চলিচত্র প্রদর্শনী করা হয়। এসময় জুলাই আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কেকে/ এমএস