শিশুদের হাসি-আনন্দে মুখরিত থাকে বিনোদনের কেন্দ্র শিশু পার্ক। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গড়ে উঠেছে শিশু এমন শিশু পার্ক। প্রতিদিন বিকাল ৩ হতে চলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বোয়ালমারী উপজেলার শিশু পার্ক’। প্রতিদিন শতশত শিশু, মধ্যবয়সী নারী-পুরুষের আনাগোনায় বিনোদনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে শিশু পার্কটি।
সূত্র জানায়,উপজেলার পরিষদের প্রায় ১ একর জায়গায় ওপর গড়ে উঠেছে শিশু পার্কটি।পার্কটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেতে উদ্যোগ নেন উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। পরে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে শুরু হয় পার্ক তৈরির মূল কাজ। এর জন্য খরচ হয়েছে আনুমানিক এক কোটি টাকা।
শিশু পার্কের জন্য প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ১০ টাকা। এছাড়াও প্রতিটি রাইডের জন্য রয়েছে আলাদা ফি। শিশু পার্কে বিভিন্ন পশু-পাখির ভাস্কর রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ট্রেন,মেরী গো রাউন্ড (ঘোড়া), নৌকা, দোলনা,সাইকেল কিং, খেলনা ঢেকি,বোট রাইডার রাখা হয়েছে। যা বিনোদন সৌন্দর্য্যে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে।
পার্কটির পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হয়নি। তার পরেও ফুটে উঠা অবয়ব ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করেছে। প্রতিদিন অসংখ্য কর্মব্যস্ত মানুষ তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে এখানে আসছেন একটু বিনোদনের জন্য। মা-বাবার সাথে ঘুড়তে আসা শিশু নুরুল হুদা নামে এক স্কুল ছাত্র বলেন, ‘আগে স্কুল বন্ধ থাকলে আত্মীয়বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। এখন বোয়ালমারী শিশু পার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়তে পারি।
পার্কে ঘুড়তে আসা আরেক শিশু সোমা বলেন, বোয়ালমারী উপজেলার শিশু পার্কে এসে ভালো লাগছে।
ফারুক আহমেদ নামে এক অভিভাবক বলেন, বোয়ালমারীতে বিনোদনের জন্য কোন জায়গায় নেই। বোয়ালমারী উপজেলার শিশু পার্কে এসে ভালো লাগছে। নিশ্চিন্তে আনন্দ উপভোগ করতে পারলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
কেকে/ এমএস