রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫,
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: এনসিপি-ছাত্রদলের সমাবেশ আজ      নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি      এক দফা ঘোষণা      চব্বিশের স্মরণে ২৪ দফা ইশতেহার দেবে এনসিপি      রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ      ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      
খেত খামার
হাঁসের খামার করে আলো ছড়াচ্ছেন বিথী
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৩ পিএম

বাড়ির পেছনের ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে হাঁসগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন বিথী রানী রায়। ভোরে খামারের দরজা খুললে একসঙ্গে ডানা ঝাপটিয়ে জলাশয়ের দিকে ছোটে শত শত হাঁস। সেই শব্দই এখন তার জীবনের সুর। 
 
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামে বসবাস বিথী রানী রায়ের। বছর দশেক আগে শুরু করেছিলেন হাঁস পালন। এখন সেই হাঁসই বদলে দিয়েছে তাঁর জীবন। সংসারে এসেছে সচ্ছলতা, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বিথী এখন এলাকার একজন সফল নারী খামারি। 
 
 বিয়ের পর স্বামী তাপস কুমার রায় ছিলেন বেকার। সংসারে তেমন মূল্যায়ন ছিল না। তখন মায়ের উৎসাহে মাত্র ১০টি হাঁস পুষে হাঁস পালন শুরু করেন বিথী রানী। কিছুদিন পর বাড়ির পেছনের ডোবায় ৫০টি হাঁসের ছানা দিয়ে তৈরি করেন ক্ষুদ্র খামার। 
 
খরচ কম হলেও পরিশ্রম ছিল অনেক। পাঁচ মাস পর হাঁস বিক্রি করে আয় হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। হাঁসের ডিম দিয়েই চলত পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানো। সেখান থেকেই শুরু হয় এগিয়ে চলা। 
 
বর্তমানে খামারে হাঁস রয়েছে ১২০০–এর বেশি। খামার থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। হাঁসগুলো ছয় মাসের মধ্যে ডিম দিতে শুরু করে। 
 
বাচ্চা তোলা থেকে শুরু করে ৭০–৭৫ দিনের হাঁস বিক্রি করেন। প্রতিটি জোড়া হাঁস পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৮০০–৯০০ টাকায়। 
 
তার স্বামী তাপস কুমার রায় বলেন, আমাদের ৭৫ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতকে বাড়ি ও হাঁসের খামার, আর বাকি জমিতে করি ফসল চাষ। আগে চলত খুব কষ্টে, এখন হাঁসই মূল ভরসা। 
 
মঙ্গলবার (২৯জুলাই) সকালে ছাতিয়ানগড় গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পেছনের পুকুরের ধারে শত শত হাঁস ঘুরে বেড়াচ্ছে। খামারের পাশে দাঁড়িয়ে বিথী রানী হাঁসগুলোর দেখভাল করছেন। 
 
তিনি বলেন, খামারের দরজা খুললেই হাঁসগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে যায় পানিতে। সেই দৃশ্য না দেখলে বোঝা যায় না—ওরাই এখন আমার প্রাণ। হাঁসগুলোই আমাকে বদলে দিয়েছে। 
 
বিথী রানী বলেন, শুরুতে কেউ পাশে ছিল না। শুধু আমার মা বলেছিলেন, তুমি পারবে। সেই ভরসা নিয়েই শুরু করি। আজ বাড়িটা খামারে পরিণত হয়েছে। হাঁসগুলোই এখন আমার আত্মবিশ্বাস। 
 
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার ঘোষ বলেন,বিথী রানী রায়ের খামার আমাদের উপজেলার সফল খামারগুলোর মধ্যে একটি। আমরা নিয়মিত তাকে টিকা, পরামর্শ ও ভেটেরিনারি সহায়তা দিয়ে থাকি। হাঁস পালন একটি লাভজনক ও টেকসই উদ্যোগ, বিশেষ করে নারীদের জন্য। 
 
তিনি আরো বলেন, খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং আমরা চাই এই সফলতার গল্প আরো ছড়িয়ে পড়ুক।

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

এনসিপি-ছাত্রদলের সমাবেশ আজ
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি
এক দফা ঘোষণা
ভেড়ামারায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা—ছেলের মৃত্যু
‘জনগণই খুনি হাসিনাকে গণভবন থেকে নামিয়ে এনেছে’

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা পঁচা দেলু গ্রেফতার
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
উখিয়ায় জামায়াতের পথসভায় জনস্রোত
‘শিল্পীর দূরদৃষ্টিতে ফেলনা বলতে কিছু নেই’
চাটমোহরে ভাঙা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

খেত খামার- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close