রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ VOIP সরঞ্জামাসহ বিভিন্ন কোম্পানির ১,৫৪৭টি সিম উদ্ধার এবং মূলহোতা মো. রাজু (৩৮)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও বিটিআরসির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন বাড্ডানগর এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ ১,৫৪৭টি সিম উদ্ধার এবং মূলহোত মো. রাজু (৩৮)’কে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ ও বিটিআরসির সদস্যরা।
র্যাব জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও বিটিআরসি জানতে পারে যে, বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতীত ফ্রিকোয়েন্সি ও অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রসামগ্রী (সিম বক্স, রাউটার, অনু, ল্যাপটপ, সিমকার্ড) ব্যবহার করে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরিসহ কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছে।
চক্রটি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বর্ণিত চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ এপ্রিল রাতে ডিএমপি ঢাকা, হাজারীবাগ থানাধীন বাড্ডানগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়া ১) মো. রাজু (৩৮)'র বাসায় উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে মো. রাজুর কাছে অবৈধ VOIP (Voice Over Internet Protocol) যন্ত্রপাতির সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, উক্ত অবৈধ VOIP যন্ত্রপাতি তার বসতঘরে আছে। উল্লিখিত ঘটনাস্থলে তল্লাশিকালে ক) VOIP SIM BOX 64 Port-২টি, খ) VOIP SIM BOX 128 Port-২২টি, গ) VOIP SIM BOX 256 Port-২টি, ঘ) WiFi ROUTER-৬টি, ঙ) WiFi ANU-৬টি, চ) ১টি HP Laptop, ছ) ১টি SAMSUNG Laptop জ) সর্বমোট সিমকার্ড-১৫৪৭ টি (জিপি-২৩৫ টি, রবি-৫০২টি, এয়াটেল-৩৭০টি, টেলিটক-৪৪০টি) উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয় র্যাব বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত আসামি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের মূলহোতা। এই চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত অবৈধ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা তৈরি করে অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানান র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী এএসপি খান আসিফ তপু। তিনি আরো বলেন, উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কেকে/এএস