রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫,
১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: এনসিপি-ছাত্রদলের সমাবেশ আজ      নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি      এক দফা ঘোষণা      চব্বিশের স্মরণে ২৪ দফা ইশতেহার দেবে এনসিপি      রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ      ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ষড়যন্ত্রের ফাঁদে বাংলাদেশ, সেনাশাসনের হাতছানি
সফিকুল ইসলাম সবুজ
প্রকাশ: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৯ এএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছেই। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কাজ করছে গণঅভ্যুত্থানে পতিত শক্তি আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্র দেশ ভারত। প্রতিবেশীদের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জুলাই বিপ্লবের পর থেকে এ ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েই যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পথ প্রশস্ত করা। 

সেই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে তাদের এদেশীয় কিছু এজেন্ট। আর বুঝে বা না-বুঝে সেই ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে অতি উৎসাহী কিছু মানুষ। যার ফলে তৈরি হচ্ছে সহিংসতা-বিশৃঙ্খলা, সেই সহিংসতাই পরোক্ষভাবে সেনাশাসনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। গত কয়েক দিন দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এমন অবস্থার আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেখ মুজিবের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা থেকে শুরু করে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অফিস ও বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবীণ রাজনীতিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক খোলা কাগজকে বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশজুড়ে যা হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বলতে গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরোক্ষ মদদে এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের শাসন ব্যবস্থায় সেনা হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বাড়বে। সেটা কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে। দেশের বাইরে থেকে কেউ কেউ উসকানি দিচ্ছে আর শিক্ষর্থীরাও তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছে, যাতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য সময় লাভ করা যায়। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, দেশের নিয়ন্ত্রণহীন সহিংসতা সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পথ সুগম করতে পারে। তারা মনে করছেন, আন্দোলনকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা সেনা হস্তক্ষেপের জন্য প্ররোচিত করছে। এর ফলে, তারা নিজেদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য অতিরিক্ত সময় পাবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সেনা হস্তক্ষেপের উদাহরণ রয়েছে, যেমন ১৯৭৫, ১৯৮২, এবং ২০০৭ সালে। তবে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর পরিণতি দেশ ও সেনাবাহিনীর জন্য নেতিবাচক ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে, সেনাবাহিনী যদি হস্তক্ষেপ করে, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

জানা গেছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে মধ্যম সারির অনেক নেতা। তাদের বেশির ভাগই ভারতে পালিয়ে গেছেন। তবে কেউ কেউ সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন কার্যত ভারতে বসেই আওয়ামী লীগ নেতারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশে থাকা কর্মীদের দিয়ে যাচ্ছেন নাশকতার নির্দেশনা। আর এসব নির্দেশনা আসছে হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এর আগে একটি তালিকা ফাঁস হয়, যেখানে আওয়ামী লীগের হয়ে কর্যক্রম চালানোর জন্য বিভিন্ন জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবার নামও ছিল সেই তালিকায়।

সর্বশেষ গত বুধবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাষণের মধ্য দিয়ে ফের ষড়যন্ত্র উসকে দেন শেখ হাসিনা। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতার রোষে পড়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি, দলীয় অফিস, শেখ মুজিবের ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা। 

তবে সারা দেশের এসব নাশকতার ঘটনায় তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। বিষয়টা অনেকটা পরোক্ষ সমর্থনের মতো। হাসিনার উসকানিতেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থাপনা আক্রান্ত হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তারা নাশকতা ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা যায়Ñ সরকার এবং পুলিশ যখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তখন শৃঙ্খলা ফেরাতে বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনাগুলো সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের পরিচ্ছন্ন আমন্ত্রণ।

আবার কেউ কেউ বলছেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ শুরু করেছে জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। দল গোছানোর জন্য তাদের একটা ন্যূনতম সময় প্রয়োজন। তাই সব সংস্কার ও গণহত্যার বিচার শেষে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তাদের। কার্যত দ্রুততম সময়ে নির্বাচন চায় না এ শিক্ষার্থীরা। তাই নির্বাচন পেছানোর জন্য এসব ঘটনার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সেনাশাসনই চাচ্ছে তারা। তবে এর স্বপক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ এখন পর্যন্ত মেলেনি।

গত বুধবার অনলাইন প্লাটফর্মে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয় তার নেপথ্য নেতৃত্বে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা গেছে উপদেষ্টা পরিষদের দুই ছাত্র প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকেও। এ ছাড়া অনলাইনে বিষয়টি সংগঠিত করায় ভূমিকা রেখেছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য এবং প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।

এ ইস্যুতে সৃষ্ট নাশকতার বিষয়টি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। এর বিরোধিতা করেছে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলছে, দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সব পক্ষেরই সংযম ও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। 

পুলিশ ও গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে ছোট-বড় মিলে চারশতাধিক আন্দোলন হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিল্প-কারখানার শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেছে। এ ছাড়া গত দেড় দশকে বঞ্চিত দাবি করেও অনেকে বিক্ষোভ-অবরোধে নেমেছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই ঢাকাতেই ৪২টি আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়।

পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, যেসব দাবি নিয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, এর কিছু সংখ্যক যৌক্তিক হলেও সময়োপযোগী নয়। এসব আন্দোলনের নেপথ্যে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন রয়েছে। ফ্যাসিস্টগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনে এ চক্রান্ত চলছে বলেও সংশ্লিষ্টরা অনুমান করছেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আন্দোলন কর্মসূচিতে নামার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিনামা পেশ করা হয়নি। এমনকি কোনো ধরনের আলোচনা-সমঝোতারও সুযোগ দেয়নি আন্দোলনকারীরা। বরং দাবি আদায়ের নামে তারা আকস্মিক সড়কে নেমে বিক্ষোভ, অবরোধ ও সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহন, শিল্পকারখানা, অফিস-আদালত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আন্দোলনের একটি বড় অংশ সুপরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির টার্গেট করে করা হয়েছে। বেশকিছু আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা ইন্ধন দিচ্ছে। এমনকি এসব আন্দোলন বেগবানে মোটা অংকের অর্থ জোগান দেওয়ারও তথ্য প্রমাণ মিলেছে। বেশকিছু তুচ্ছ দাবি আদায়েও স্বার্থন্বেষীগোষ্ঠী আন্দোলনকারীদের রাজপথ অবরোধ ও ধর্মঘট ডাকতে উসকে দিয়েছে। এসব আন্দোলন কর্মসূচি সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সময় দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা গুম, খুন, অর্থপাচার, অনিয়ম-দুর্নীতি, দখলবাজি, লুটপাট, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অপকর্ম-দুঃশাসনের কারণে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ইমেজ তলানিতে এসে ঠেকেছে। এ সময়ের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির বিশাল ফিরিস্তি প্রকাশ পেয়েছে। বড় বিপদে দলের নীতিনির্ধারকরা যে শুধু নিজেদের রক্ষাতেই মরিয়া ৫ আগস্টের পর সে চিত্রও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে আগের মতো দলীয় নির্দেশনা পেলেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে না তা দলীয় হাইকমান্ড ভালোভাবেই টের পেয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ জনগণেরও এ দলটির ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় বড় ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজনৈতিক কর্মসূচির ডাক দিয়ে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যে কঠিন হবে এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই দলের নীতিনির্ধারকরা স্পষ্ট বার্তা পেয়ে গেছেন। তাই দলীয়ভাবে আন্দোলনে নামার আগে তারা নানা ইস্যুতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে উসকে দিয়ে মাঠ তৈরির ফন্দি এঁটেছে। আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করেন তারা।

এদিকে গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর প্রায় ছয় মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধের ডাক এবং নিজেদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ পালনের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা তাদের আগের মিশনেরই অংশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, গত ছয় মাসে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ইমেজ পুনরুদ্ধারে মাঠে নামার পথ কতটা প্রশস্ত হয়েছে, এটা তারই টেস্ট কেস। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এ যাত্রায় আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হলেও ফের একই কৌশলে এগোনোর চেষ্টা করবে। বিকল্প কোনো পথ খোলা না থাকায় সদ্য ক্ষমতা হারানো এ দলটি নতুন করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নানা দাবি তুলে আন্দোলনের মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে। তাই সরকারের উচিত এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আগেভাগেই তথ্য সংগ্রহে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অ্যালার্ট করা জরুরি বলে মনে করেন তারা।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  ষড়যন্ত্রের ফাঁদে বাংলাদেশ   সেনাশাসনের হাতছানি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

এনসিপি-ছাত্রদলের সমাবেশ আজ
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি
এক দফা ঘোষণা
ভেড়ামারায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা—ছেলের মৃত্যু
‘জনগণই খুনি হাসিনাকে গণভবন থেকে নামিয়ে এনেছে’

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা পঁচা দেলু গ্রেফতার
উখিয়ায় জামায়াতের পথসভায় জনস্রোত
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
‘শিল্পীর দূরদৃষ্টিতে ফেলনা বলতে কিছু নেই’
চাটমোহরে ভাঙা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close