বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      এভারকেয়ারের পাশে সেনা-বিমান বাহিনীর মহড়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ      শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
অর্থ পাচার ও ডলারের ঊর্ধ্বগতি : নীতি সংস্কার প্রয়োজন
মো. নূর হামজা পিয়াস
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৮ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত, আর্থিক কার্যক্রম এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি এবং সুশাসনের অভাব সাধারণ নাগরিকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। যেসব নাগরিক ন্যায্য ও স্থিতিশীল জীবনযাপনের আশা রাখে, তাদের দিন দিন আর্থিক অসুবিধা এবং সামাজিক বৈষম্যের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। ঘুষ, লেনদেনের অসাম্য এবং দুর্নীতিপূর্ণ আচরণ শুধুমাত্র দেশের আর্থিক পরিবেশকে দুর্বল করছে না, বরং সাধারণ মানুষের আস্থা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও কমিয়ে দিচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলায় স্বচ্ছতা না থাকলে টেকসই উন্নয়ন কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক মার্কিন ডলারের দাম ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। যদিও পরে ডলারের মান কিছুটা কমলেও স্থায়ী স্থিতিশীলতা আসেনি। এ মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে এবং খাদ্য, জ্বালানি ও অপরিহার্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে তুলেছে। ডলার প্রান্তিক বৃদ্ধি দেশের বাণিজ্য ঘাটতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি অবৈধ অর্থ পাচারের মতো সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৫ সালের মধ্যে আরো অব্যাহত থাকবে এবং সাধারণ নাগরিকের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়বে।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রায় ৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে। অর্থাৎ, গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হচ্ছে। এ বিশাল পরিমাণ অর্থ দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ অবৈধ অর্থ স্থানান্তর বন্ধ না করা হলে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে ধ্বংসাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন হবে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি। এ তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে জনগণ জানতে পারবে, কে কতটুকু অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে স্থানান্তর করেছে। একই সঙ্গে, সরকারকে এ অর্থ ফেরত আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে না পারলে, এ সমস্যা ক্রমবর্ধমান হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে আর্থিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ২ ট্রিলিয়ন টাকারও বেশি খেলাপি ঋণের বোঝায় দমিত। এর মধ্যে রয়েছে মওকুফ করা ঋণও। বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, অনেক খেলাপি ঋণ বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো এই ঋণের প্রকৃত কারণ প্রকাশ করেনি। শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের তালিকা প্রকাশ করলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আরো স্পষ্ট হবে। বর্তমানে, এই অস্পষ্টতা ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলে রেখেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রধান রেমিট্যান্স উৎস দেশগুলো থেকে প্রেরিত অর্থ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স ২১ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৪১ শতাংশ, যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ শতাংশ, কাতার থেকে প্রায় ১০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়া থেকে ৫৫ শতাংশ কমেছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে যে, যদি কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি আরো তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

দেশের আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনহীনতার কারণে অবৈধ অর্থ স্থানান্তর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অদক্ষতা এ পরিস্থিতির মূল কারণ। 

পাচারকারীরা জাল চালানের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করছে। আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং ব্যবহার করে তারা বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ করছে। এমনকি অননুমোদিত নালীর মাধ্যমে অর্থ বিদেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে, যা জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সঙ্গেও মিলে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে কানাডায় অবস্থিত এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হয়। এ গ্রুপের ১৪৭টি দেশ আছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সহযোগিতা চাইতে পারে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অবৈধ অর্থের উৎস নির্ধারণ এবং ফেরত আনার প্রক্রিয়া আরো কার্যকর করা সম্ভব। তবে, এটি সঠিকভাবে কার্যকর করতে স্থানীয় নীতি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা অপরিহার্য।

ডলার সংকটের কারণে এবং লেটার অব ক্রেডিটে (খঈ) অস্পষ্টতার ফলে বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলোর তুলনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বড় খেলোয়াড়রা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও আর্থিক সক্ষমতার মাধ্যমে ডলারের জোগান নিশ্চিত করতে পারলেও, ছোট আমদানিকারকদের উচ্চ প্রিমিয়ামে ডলার কিনতে হচ্ছে, যা তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে এসএমই খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে এবং অনেক ছোট ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং অন্যান্য দেশ থেকে মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাচ্ছে। যদিও এটি বৈধ লেনদেনের একটি মাধ্যম, তবে অবৈধ লেনদেনও এ পথ দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জনতা ব্যাংক লিমিটেডকে এলসি সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করেছে, তবে এর কারণ স্পষ্ট নয়।

অর্থ পাচার এবং বড় আর্থিক দুর্নীতির মামলাগুলির বিচারিক প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে চলে। আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা, বিশেষজ্ঞ বিচারকের অভাব এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয়। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর্থিক অপরাধীদের আরো উৎসাহিত করে। অর্থ পাচার ও দুর্নীতি মোকাবিলায় বিশেষ আদালত গঠন, প্রশিক্ষিত প্রসিকিউটর নিয়োগ এবং মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা জরুরি। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা থাকলে, কঠোর আইন প্রণয়নও কোনো ফল দেয় না।

অর্থ পাচারের অভিযোগ অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত। অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে এ তদন্ত পরিচালনা করতে পারে। দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নিলে অবৈধ অর্থ স্থানান্তর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। এ বক্তব্যে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।

অবৈধ অর্থ প্রবাহ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের জন্য নিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি বা রেগটেক প্রয়োগ করা জরুরি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করা সম্ভব, যা ম্যানুয়াল তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেটা বিশ্লেষণ ক্ষমতা সীমিত। রেগটেক বাস্তবায়ন করলে, অর্থ পাচারের নেটওয়ার্কগুলো দ্রুত শনাক্ত করা যাবে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি আরো কার্যকরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। প্রযুক্তির এই আধুনিক ব্যবহার আর্থিক অপরাধ দমনে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

পুঁজির পলায়ন বন্ধ করতে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হলে অর্থনীতির ঘূর্ণন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। সরকারের নীতি ও প্রণোদনা এই প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে পারে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণ একসঙ্গে চললে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

পাচারকৃত অর্থের একটি বড় অংশ প্রায়শই দেশে ফিরে এসে রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ কালো টাকার প্রবাহের কারণে আবাসন খাতে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা যায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য শহরে এক টুকরো জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা আরো কঠিন হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়া কেবল আর্থিক বৈষম্যই বাড়ায় না, বরং মূলধন বাজারের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে। সরকারকে অবশ্যই রিয়েল এস্টেট খাতে অর্থ প্রবাহের উৎস কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে এবং কালো টাকা সাদা করার এ প্রক্রিয়াকে আইনগতভাবে বন্ধ করতে হবে।

অর্থ পাচার ও ব্যাংকিং দুর্নীতি কেবল অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবও সৃষ্টি করে। সাধারণ নাগরিকদের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়, সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষমতাসীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা কমে। রাজনৈতিক প্রভাব ও অদক্ষ প্রশাসনের ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য এই ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাগুলো সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি।
বড় আকারের রাজস্ব ফাঁকি প্রায়শই মানি লন্ডারিংয়ের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে কাজ করে। যে অর্থ কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত হয়, পাচারকারীরা সেই অর্থই বিদেশে স্থানান্তর করার চেষ্টা করে। এ কারণে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মধ্যে সমন্বিত এবং কার্যকর গোয়েন্দা কার্যক্রম প্রয়োজন। আমদানি-রপ্তানি ডেটা বিশ্লেষণ, সম্পদ যাচাই এবং কর অডিট জোরদার করা হলে উৎসেই অবৈধ অর্থের সৃষ্টি ঠেকানো সম্ভব হবে। রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করা গেলে বিদেশে অর্থ পাচারের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

অবৈধ অর্থ স্থানান্তর প্রতিরোধের জন্য শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রয়োজন। স্থানীয় ব্যাংকিং খাতকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। খেলাপি ঋণ, অবৈধ লেনদেন এবং বিদেশি অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা প্রয়োজন। এছাড়াও, দেশের রেমিট্যান্স ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও নিরাপদ করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং প্রমাণভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োগ অপরিহার্য।

বাংলাদেশের আর্থিক খাত বর্তমানে এক সংকটপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। অবৈধ অর্থ স্থানান্তর, খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। তবে যথাযথ নীতি, কঠোর নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলে এ সংকট মোকাবিলা সম্ভব। দেশকে একটি স্থিতিশীল, স্বচ্ছ এবং বিনিয়োগবান্ধব আর্থিক পরিবেশে রূপান্তর করা গেলে, সাধারণ নাগরিক এবং দেশের অর্থনীতি একসঙ্গে সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে।

কেকে/এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  অর্থ পাচার   ডলারের ঊর্ধ্বগতি   নীতি সংস্কার  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দশমিনায় মৎস্য মেরিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close