বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      এভারকেয়ারের পাশে সেনা-বিমান বাহিনীর মহড়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ      শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
বেগম খালেদা জিয়া : আপসহীন সংগ্রামী এক কিংবদন্তি
সুলতান মাহমুদ সরকার
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

বাংলাদেশের রাজনীতির দীর্ঘ পথপরিক্রমায় কিছু নাম ও ব্যক্তিত্ব আছেন, যাদের উপস্থিতি কেবল রাজনৈতিক পদমর্যাদার কারণে নয় বরং তাদের ব্যক্তিত্ব, সংগ্রাম, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও সময়কে রূপান্তর করার ক্ষমতার কারণে। সেই নামগুলোর একটি হলো বেগম খালেদা জিয়া। 

তার জীবন যেন এক অদম্য পথচলার কাহিনি। যেখানে দায়িত্বের ডাক এসেছে বারবার, আর প্রতিবারই তিনি সেই ডাক গ্রহণ করেছেন নির্ভীকভাবে, কোনো অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করে। একদিকে পরম ব্যক্তিগত শোক, অন্যদিকে রাষ্ট্র পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব সবকিছু মিলিয়ে তার পুরো জীবন এক বিরল সংগ্রামের ইতিহাসের সাক্ষী।

আমরা সেই সংগ্রামী জীবনের পথচলার কথা বলছি, সেই নারীর কথা বলছি, যিনি রাজনীতিতে আসেননি নিজের ইচ্ছায়, তবুও হয়ে উঠেছেন রাজনীতির কেন্দ্রস্থলে। যিনি দিয়েছিলেন নেতৃত্বের একটি বিকল্প রূপরেখা, যিনি ছিলেন গণতন্ত্রের উত্থানে দৃঢ় কণ্ঠ, আবার বিপদের সময় হয়ে উঠেছেন জনতার ভরসার প্রতীক। রাজনৈতিক ভিন্নমত সত্ত্বেও তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধার কারণ তার সেই অনমনীয়তা, যেটি তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য এক চরিত্রে পরিণত করেছে।

দিনাজপুরের সেই শান্ত গ্রাম থেকে তার জীবনের শুরু। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম নেওয়া ছোট্ট মেয়েটির স্বপ্ন নিশ্চয়ই সাধারণ ছিল। সেই সময়ে প্রায় সব বাঙালি পরিবারের মতোই শিক্ষা, মূল্যবোধ ও দৈনন্দিন পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এক শৈশব তার। কিন্তু এ সাধারণ শৈশব একদিন তাকে অতিক্রম করে নিয়ে যাবে এক ব্যতিক্রমী পথের দিকে যেখানে জাতীয় দায়িত্বের কাঁধলাগা, রাজনৈতিক অভিঘাত, জনগণের আস্থা এবং সংগ্রামের ইতিহাস অপেক্ষা করছিল। তখনো কেউ জানত না এই মেয়েটিই দেশের সবচেয়ে আলোচিত নারীদের একজন হয়ে উঠবেন।

তার জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বাঁক আসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহের মধ্য দিয়ে। তার স্বামী তখন সেনা কর্মকর্তা, পরে স্বাধীনতার ঘোষক, তারপর রাষ্ট্রপতি। এমন এক মানুষ যার জীবনে দায়িত্ব, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম ছিল চালিকাশক্তি। একজন রাষ্ট্রনেতার সহধর্মিণী হিসেবে খালেদা জিয়ার চোখের সামনে খোলা হতে থাকে রাষ্ট্র পরিচালনার জটিলতা, মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, দেশের রাজনৈতিক প্রস্তুতির পরিবর্তন। 

তিনি তখনো রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, কিন্তু দায়িত্বের চেতনা তার ভেতরে গড়ে উঠছিল নীরবে।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে একদিকে বিধ্বস্ত হলো তার ব্যক্তিগত জীবন, অন্যদিকে দেশেরও রাজনৈতিক ভিত্তিও নড়ে উঠল। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তিনি হয়তো তখনো বুঝে উঠতে পারেননি দেশ তাকে আহ্বান জানাচ্ছে নতুন দায়িত্বে। বিএনপি তখন নেতৃত্বহীন অবস্থায় বিভক্তির ঝুঁকিতে, দলকে বাঁচাতে এমন একজন দরকার ছিল যিনি গ্রহণযোগ্য, দৃঢ় ও নির্লোভ। 

নেতাকর্মীদের অনুরোধে সেই ভার তিনি কাঁধে তুলে নিলেন। একটি শোকাহত বিধবা নারী তখন এগিয়ে এলেন একটি বৃহৎ রাজনৈতিক কর্মের নেতৃত্বে। তিনি প্রস্তুত ছিলেন না, কিন্তু জাতির সময়ের দাবি তাকে এক অনিবার্য সিদ্ধান্তে নিয়ে এলো।

সেখানেই শুরু তার আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক যাত্রা। এমন এক যাত্রা যা ছোট কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা নয়, বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তভাবে দাঁড়ানোর লড়াই। তিনি যখন রাজপথে নামলেন, তখন সামরিক শাসনের কঠিন সময়। বিরোধী রাজনীতি ছিল দমনের শিকার, রাজনৈতিক অধিকার সংকুচিত, গণতন্ত্র তো তখন নিছক শব্দমাত্র। ঠিক এমন এক সময়ে তিনি হয়ে ওঠেন প্রবল বিরোধী কণ্ঠ, নারী হয়েও নয়, বরং নেতা হিসেবে। মানুষ তাকে দেখল সংগ্রামের প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে, স্লোগানের ভিড়ে তার কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হলো দৃঢ় বিশ্বাসের ভাষায়।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে তার নেতৃত্ব আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ তখন গণতন্ত্রের জন্য তীব্র লড়াই করছিল, আর সেই লড়াইয়ের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন বেগম জিয়া। রাজপথে তার উপস্থিতি মানুষকে সাহস দিত, দলে ঐক্য আনত, রাজনৈতিক আন্দোলনকে প্রবাহিত করত। তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসেননি, কিন্তু রাজনীতির পরিস্থিতি তাকে দ্রুতই পরিণত করে ফেলে নেতৃত্বের দায়িত্বশীল প্রতীকে। প্রতিদিনের আন্দোলন, কর্মসূচি, কর্মীর ওপর নির্যাতন সবকিছু সামলানো আর সংগঠিত করা তার জন্য কঠোর পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তিনি টালমাটাল রাজনীতির ভেতরেও নিজের অবস্থান হারাননি।

১৯৯০ সালের গণআন্দোলন ছিল তার জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায়। একদিকে বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, অন্যদিকে জনগণের আস্থা ধরে রাখা সব মিলিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। সেই আন্দোলনের সাফল্যে বাংলাদেশ ফিরে পায় গণতন্ত্রের পথ। সামরিক শাসনের অবসান হয়, আবার শুরু হয় নতুন রাজনৈতিক যাত্রা। খালেদা জিয়া তখন আর কেবল দলের চেয়ারপারসন নন তার নাম তখন গণতন্ত্রের সংগ্রামের প্রতীক।

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি হন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসেও এটি ছিল এক বিরাট ঘটনা। তার নেতৃত্বে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেম থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে আসা ছিল তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অন্যতম পরীক্ষা। দেশের রাজনৈতিক কাঠামো বদলে দিতে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতির অন্যতম ভিত্তি।

রাষ্ট্র পরিচালনায় তার প্রথম মেয়াদকাল ছিল পুনর্গঠনের সময়। অর্থনীতি দুর্বল, অবকাঠামো ভঙ্গুর, প্রশাসন অস্থিতিশীল সব মিলিয়ে তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছিল এক সঙ্কুল পরিবেশ। কিন্তু তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বেসরকারি খাতকে উৎসাহ, কৃষি ও শিল্পে বিনিয়োগ, গ্রামীণ উন্নয়ন এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। তার সময়েই বেসরকারিকরণকে মূলধারা করা হয়, যেটি পরবর্তীতে দেশের অর্থনীতিতে নব চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

২০০১ সালে আবারো জনমতের আস্থায় দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় ফিরে আসেন। তার দ্বিতীয় মেয়াদে সন্ত্রাস দমন, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়। তিনি বিশ্বাস করতেন রাষ্ট্রের মূলশক্তি হলো স্থিতিশীলতাÑ রাজনৈতিক স্থিরতা, অর্থনৈতিক স্থিতি এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা।

তবু রাজনীতির পথ কখনোই মসৃণ ছিল না তার জন্য। প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিপক্ষের কঠিন চ্যালেঞ্জ, বিরূপ পরিস্থিতির অনবরত চাপ তাকে প্রতিনিয়ত নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে। ক্ষমতার আসনে থাকলেও তিনি জানতেন সংলাপ আর সমঝোতাই রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূলভিত্তি। তাই নানা উত্তাপের মধ্যেও তিনি বারবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কথোপকথনের আমন্ত্রণে, বিরোধীদের সঙ্গে সহাবস্থানের পথ খুঁজেছেন রাষ্ট্রের স্বার্থে। বিরোধীর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, রাজনৈতিক সহাবস্থান বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করেছেন। তার বিশ্বাস ছিল, একটি রাষ্ট্র তখনই শক্তিশালী, যখন বিরোধী দলকে শত্রু নয়, বরং গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখা হয়।

কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় রাজনীতি নয় বরং ব্যক্তিগত জীবন। স্বামীকে হারানোর পর তাকে আরো বহুবার কঠিন শোকের মুখোমুখি হতে হয়। ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু তার মধ্যে অন্যতম। একজন মায়ের জন্য সন্তানের মৃত্যু এমন এক ব্যথা, যা কোনো ভাষা ধারণ করতে পারে না। সেই শোক, সেই নিঃসঙ্গতা এবং গভীর আবেগ তার জীবনে প্রচণ্ড ক্ষত তৈরি করেছিল। তবুও তিনি দলের দায়িত্ব সামলে রেখেছেন, জনগণের জন্য রাজনীতি ধরে রেখেছেন। তিনি ভেঙে পড়তে পারতেন, কিন্তু ভাঙেননি এটাই তাকে অনেকের কাছে কিংবদন্তি করে তোলে। 

এরপর আসে রাজনৈতিক নির্যাতনের কঠোর বাস্তবতা। মামলায় জড়িয়ে পড়া, গ্রেফতার, কারাবরণ, চিকিৎসা সংকট। বহু বছর ধরে তিনি বন্দিজীবন কাটান, যন্ত্রণা সহ্য করেন। তার চলাফেরার স্বাধীনতা সীমিত থাকে, যোগাযোগের সুযোগ সংকুচিত হয়। শারীরিক অবস্থা দ্রুতই অবনতির দিকে যায়। তবুও মানসিক দৃঢ়তায় তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। মানুষ দেখেছে তিনি কীভাবে একা, নিঃসঙ্গতা সত্ত্বেও নিজের বিশ্বাস ধরে রেখেছেন। রাষ্ট্রের স্বার্থের প্রশ্নে তার আপোষহীনতা ছিল সুস্পষ্ট। সীমান্ত, জলবণ্টন, বাণিজ্য বৈষম্য, নিরাপত্তা- এসব বিষয়ে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। কোনো প্রভাবশালী বা আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথানত না করার যে শক্ত মনোভাব তিনি দেখিয়েছেন, তা তাকে জনগণের কাছে শক্তিশালী নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার নেতৃত্বের মূলমন্ত্রই ছিল, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়।

আজ তিনি অসুস্থ। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, কারাগারের কষ্ট, বারবার চিকিৎসায় বাধা সব মিলিয়ে তিনি হয়তো জীবন সায়াহ্নে এসে পড়েছেন। কিন্তু তার স্মৃতি, তার সংগ্রাম এবং তার দীর্ঘ সময়ের নেতৃত্ব সবই তাকে অমর করে রেখেছে মানুষের মনে। তিনি এখন অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছেন, আর সারা দেশের লাখো মানুষ তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার নাম তাই এক অমোচনীয় চিহ্ন, যে চিহ্ন সময়কে ছাপিয়ে টিকে থাকবে। তার জীবন এক সংগ্রামী নারীর গল্প, এক দৃঢ় নেত্রীর ইতিহাস, এক মানবিক মায়ের বেদনা ও এক রাজনৈতিক প্রতীকের শক্তি। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি, যেন তিনি আবার স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসতে পারেন, যেন দেশের মানুষ তাকে আবারো দেখতে পারে সুস্থ, শান্ত এবং নিরুদ্বেগ অবস্থায়, যেন তার বাকি জীবন থাকে শান্তির, প্রার্থনার, আর মানুষের ভালোবাসার আলোয়।

কেকে/এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  বেগম খালেদা জিয়া   আপসহীন   সংগ্রামী   কিংবদন্তি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দশমিনায় মৎস্য মেরিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close