বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি মনে করি সারাদেশে বাউলদের ওপরে হামলা একটি নেক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা ডেফিনেটলি বাংলাদেশের আবহমানের সংস্কৃতি, গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতি।”
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাওয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সংষ্কার করা নির্মিত নতুন ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বাউলরা সারাদেশে মাঠে-ঘাটে, প্রান্তরে গান গেয়ে বেড়ায়, তাদের ওপরে এসব হামলা উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি এবং এটা সঠিক নয়। এ ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসার পথ বেছে নেয়া কারো জন্যই কাম্য নয়। আমরা অবশ্যই এটা সুষ্ঠুু তদন্ত এবং নিরসন দাবি করি।”
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘনঘন অগ্নিকান্ডের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, “আমি এগুলোকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করি না বরং আমি মনে করি আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন কলকারখানা, গার্মেন্টস এসবের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের অবশ্যই নেগলেন্সি রয়েছে। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং আইন না মেনে চলা। সবকিছু মিলিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডগুলি ঘটে। সে ক্ষেত্রে মনে হয়, যদি সত্যিকারের আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব সহজেই এসব এভোয়েড করা সম্ভব হবে।”
কিছু আসনে এখনো প্রার্থী না দেবার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই বাকি আসনগুলোতেও মনোনয়ন দেবো এবং দেশবাসী তা দেখতে পারবে। আমরা যোগ্য প্রার্থীদেরকেই মনোনয়ন দিবো।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারন সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
কেকে/ আরআই