বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও সাত, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭      ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প      দুদকের সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে      প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি      নির্বাচনী জোটের আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে : রাশেদ খান      গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমান      
খোলাকাগজ স্পেশাল
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায়ও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৯ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনো পুরোপুরি গতিশীল না হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা দিতে শুরু করেছে। চাহিদা হ্রাস ও বিনিয়োগের স্থবিরতা, শিল্প খাতের মন্থর প্রবৃদ্ধি এবং রাজস্ব ঘাটতির চাপে অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় থাকলেও কৃষি উৎপাদন, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক সহায়তা এবং ব্যাংকিং খাতের তারল্য ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং ব্যবসায়বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা গেলে অর্থনীতি আরো দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। 

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক তাদের পর্যালোচনায় এ মন্তব্য করেছে। 

পর্যালোচনায় এমসিসিআই বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমে আসা, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতি এবং রপ্তানি-রেমিট্যান্সে উন্নতি সামগ্রিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মুদ্রা ও আর্থিক নীতি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এর পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ক্রেডিট প্রবৃদ্ধি সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ নেমে এসেছে ৬.২৯ শতাংশে, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ আগ্রহ কমে যাওয়া ও আস্থাহীনতাই-এর মূল কারণ। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৫ শতাংশে, যা আগের প্রান্তিকের ৪.৮৬ শতাংশ থেকে কম। তবে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি-আমদানি, রেমিট্যান্স ও মুদ্রাস্ফীতির উন্নতির কারণে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিবেশে কিছুটা স্বস্তির বার্তা মিলেছে।

কৃষিতে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধি 

কৃষি খাত এখনো দেশের সবচেয়ে বড় নিয়োগকর্তা। ২০২৪-২৫ অর্থবরের চতুর্থ প্রান্তিকে কৃষি খাতে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে এবং জিডিপিতে খাতটির অবদান বেড়ে হয়েছে ১২.৭২ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায়  ৯.০৮ শতাংশ বেশি।

প্রাকৃতিক অনুকূলতা, সার-বীজসহ উপকরণের সময়মতো সরবরাহ এবং কৃষিঋণের সহজলভ্যতা কৃষি প্রবৃদ্ধিকে আরো গতিশীল করেছে। এই প্রান্তিকে খাতটির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩.০১ শতাংশে, যা ৩য় প্রান্তিকের ২.৪২ শতাংশ থেকে বেশি।

কমেছে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি

২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৪.১০ শতাংশে, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ৬.৯১ শতাংশ। জিডিপিতে শিল্পের অবদান কমে হয়েছে ৩৫.১৪ শতাংশ যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৪০.৪১ শতাংশ। উৎপাদন উপখাতেও প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪.৬৪ শতাংশ, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ৭.৫১ শতাংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, ডলার সংকট, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ-গ্যাসের অস্থিতিশীলতা ও উচ্চ সুদের পরিবেশ শিল্পখাতে চাপ সৃষ্টি করেছে।

সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কমলেও জিডিপিতে অবদান বেড়েছে

২০২৪-৩৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ২.৯৬ শতাংশে, যা এক প্রান্তিক আগেই ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। তবে আশার খবর-জিডিপিতে খাতটির অবদান বেড়ে হয়েছে ৫২.১৫ শতাংশ, আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৫০.৫১ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাতে উচ্চ তারল্য, শেয়ারবাজারে লেনদেনে উত্তাপ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের আর্থিক খাতে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেলেও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ প্রত্যাশার তুলনায় এখনো দুর্বল। ব্রড মানি  প্রবৃদ্ধি এ সময়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৪ শতাংশ, যা আগের বছরের ৭.৮৮ শতাংশের তুলনায় বেশি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়েছে। দেশীয় ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.২০ শতাংশে, কিন্তু বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে এসেছে ৬.২৯ শতাংশে; যা আগের বছরের ৯.২০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৭.২০ শতাংশের নিচে। বিপরীতে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৪৫ শতাংশে, যেখানে সরকারের নেট ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৭.২২ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাতে তারল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৫ সালের জুন শেষে নির্ধারিত ব্যাংকগুলোর মোট তারল্য সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৫,৮৬,৩০৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের জুন শেষে ছিল ৪,৭৩,৪০৪ কোটি টাকা। ন্যূনতম তারল্য চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত তারল্য ধরে রেখেছে প্রায় ২,৮৩,৬৪০ কোটি টাকা। সুদের হারে সামান্য পরিবর্তন ঘটেছে; সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকগুলোর অগ্রিম ও আমানতের গড় সুদের হারের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৫.৭৪ শতাংশ। অগ্রিম সুদের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.১৬ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ৬.৪২ শতাংশ। 

শিল্প খাতে টার্ম লোন বিতরণেও প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২৪ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৩৩,৭৬৩ কোটি টাকা, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২৮.৯০ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে ঋণ আদায় বেড়ে হয়েছে ২৫,০৬৩ কোটি টাকা। তবে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬২,৫৮০.৭৮ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৪৯ শতাংশ কম। যদিও ঋণ আদায় বেড়ে হয়েছে ৫৭,২৩৪.০৩ কোটি টাকা। কৃষি ও গ্রামীণ খাতে ঋণ বিতরণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮২৬.০৩ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় ২৪.৬৭ শতাংশ বেশি। এ খাতে ঋণ আদায়ও বেড়ে ৬,০৭৩.৫৮ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

এদিকে শেয়ারবাজারে লেনদেনও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৬৯ বিলিয়ন টাকায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৩২.১১ শতাংশ বেশি। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ৫৫.১৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫,১৪৯.৮৯ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঈঅঝচও সূচক বেড়ে ১২৪.০১ পয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে ১৪,৪১৩.৩৯ পয়েন্টে পৌঁছায়। সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাতে প্রবাহমান এই প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখছে, যদিও বেসরকারি খাতে দুর্বল ঋণপ্রবাহ অর্থনীতির গতি সীমিত করছে।

রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি, তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চ্যালেঞ্জ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২০.৪৫ শতাংশ, যা দাঁড়িয়েছে ৯১,০০৫ কোটি টাকা। তবে এই প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৮.৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে আদায় হয়েছে ৩৬,৫৮২ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ১৯.৭৫ শতাংশ বেশি, কিন্তু মাসিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে ৫.৯৭ শতাংশ।

এডিপি বাস্তবায়নে সামান্য উন্নতি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫.০৯ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৭৫ শতাংশ থেকে বেশি।

রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি, আমদানিতে চাঙ্গাভাব

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেষে দেশের রপ্তানি, আমদানি ও রেমিট্যান্স খাতে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এ সময়ে রপ্তানি আয় ৫.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২.২৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১.৬৬ বিলিয়ন ডলার। প্রধান অবদানকারী খাত হিসেবে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক শিল্প এবারও শক্তিশালী অবস্থান বজায় রেখেছে। যদিও প্রান্তিক সমাপ্তির মাস সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ রপ্তানি আয় ৫.১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবুও জুলাই-সেপ্টেম্বরে সামগ্রিকভাবে বার্ষিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার ২২.৩১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

অন্যদিকে, একই সময়ে দেশের মোট আমদানি মূল্য ৯.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.৭১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের ১৬.১৭ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সেপ্টেম্বর ২০২৫ মাসেও আমদানি পরিশোধের পরিমাণ ৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬.২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতার প্রভাব আমদানি খাতে সক্রিয় রয়েছে।

রেমিট্যান্স খাতেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ রেমিট্যান্স প্রবাহ ১১.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৬৮৫.৮৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স আয় ১৫.৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৭,৫৮৫.৬৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সরকারের উচ্চ নগদ প্রণোদনা, নিয়ম-কানুন সহজীকরণ এবং প্রবাসী আয়ের আনুষ্ঠানিক চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ায় এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

বৈদেশিক সহায়তা ও বিনিয়োগে উত্থান, মূল্যস্ফীতিতে মিশ্র প্রবণতা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক সহায়তা, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সূচকে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এ সময়ে বৈদেশিক সহায়তার বিতরণ ৩৫.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং সহায়তার প্রতিশ্রুতি অগ্রহণযোগ্যভাবে বেড়ে ৩,২২২.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯১০.৬৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ প্রথম তিন মাসে ১৭৮.৯৫ শতাংশ বেড়ে ৩১৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যদিও বাংলাদেশ এখনও অনুরূপ উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় এফডিআই কম আকর্ষণ করছে।

বর্তমান হিসাব জুলাই-সেপ্টেম্বরে ঋণাত্মক হয়েছে, মূলত আমদানি বৃদ্ধির কারণে, যদিও রেমিট্যান্স প্রবাহ শক্তিশালী ছিল। তবে আর্থিক হিসাবের উদ্বৃত্ত ১.৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা ট্রেড ক্রেডিট ও মধ্য-মেয়াদী ঋণ বৃদ্ধির কারণে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের বৈদেশিক হিসাব ৮৫৩ মিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ১.৪৯ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি ছিল।

টাকার বিনিময় হার সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে সামান্য ০.৭৯ শতাংশ বাড়লেও, বছরের ভিত্তিতে ১.৫০ শতাংশ মূল্য হ্রাস হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। শ্রমবাজারে প্রবাসী কর্মী রফতানি ৬৩.৪৯ শতাংশ বেড়ে ৩,০৯,৯৪৫ জন হয়েছে। একই সময়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ ৮.৩৬ শতাংশ এবং খাদ্য ও অখাদ্য দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ৭.৬৪ শতাংশ ও ৮.৯৮ শতাংশ হয়েছে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় অখাদ্য দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় বেশি। 

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় বীজ বিক্রিতে অনিয়মের দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
শ্রীপুরে ইভটিজিং ইস্যুকে কেন্দ্র করে স্কুলছাত্রের ছুরিকাঘাত, আহত ৬
শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে না লড়ার সিদ্ধান্ত জেডআই খান পান্নার
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১২.৫ ডিগ্রি
মোহনপুরে বিএসটিআই লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সর্বাধিক পঠিত

ইয়ুথ ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে ব্যারিস্টার খোকনের বরণ
পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারে 'চতুরবাড়ী বিওপি'র যাত্রা
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প
নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close