বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: প্লট দুর্নীতি : জয়-পুতুলের পাঁচ বছর কারাদণ্ড      শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড      শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের মামলার রায় আজ, আদালতে বিজিবি মোতায়েন      এবার একযোগে ১৫৮ ইউএনওকে বদলি      হংকংয়ে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭৯      শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পর্যালোচনা করা হচ্ছে      ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ      
বেগম রোকেয়া
হেনার স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
হেনা সুলতানা

হেনা সুলতানা

অভাব-অনটনের সংসার ছিল হেনা সুলতানার। স্বামী বিভিন্ন ব্যবসায় করে লোকসানের শিকার হয়ে একসময় বেকার হয়ে পড়েন। হেনার সংসারে অভাব আরও বাড়তে থাকে। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াও এক রকম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ধার দেনা ও ঋণ করে সংসার চালাতে গিয়ে বেড়ে যায় ঋণের বোঝাও। সেই সঙ্গে দিন দিন বাড়তে থাকে সংসারে কলহ আর অশান্তি। সংসারের এমন দুর্দশার সময়ে হেনা সুলতানা ভেঙে না পড়ে মনোবল শক্ত করেন। নিজের ইচ্ছা শক্তি বাড়িয়ে বাড়িতে থাকা পুরনো মেশিন দিয়ে শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ। সে বছর ঈদ সামনে রেখে কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। পাড়ার মেয়েরা নানা রকম সেলাইয়ের কাজ নিয়ে তার বাড়িতে ভিড় জমায়। ভালো কাজ পেয়ে খুশি হন ক্রেতারা। দর্জির আয়ে সংসার চালান হেনা সুলতানা। 

ধীরে ধীরে মুক্ত হতে থাকে আগের ধার দেনা। এবার নড়ে চড়ে ওঠেন স্বামী আব্দুল মান্নান। দর্জির ব্যবসায় আয়ের উৎস ভালো দেখে স্ত্রী হেনা সুলতানার কাজে বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। এভাবেই গ্রামের বাড়িতে কেটে যায় ১ বছর। পরের বছর স্বামীর সহযোগিতায় বগুড়ায় দর্জির ট্রেনিং নেন হেনা সুলতানা। এবার স্বাবলম্বী হওয়ার পালা। সিংড়া বাজারে তখন মেয়েদের একক কোনো দর্জির দোকান ছিল না। হেনা সুলতানাই একমাত্র সাহসী নারী যিনি কোনো সংকোচ বোধ না করে সিংড়া বাজারে প্রথম দর্জির দোকান শুরু করে সিংড়া উপজেলা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মাত্র কয়েক ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। এই পথ ধরে অনেক নারীই এখন দেখছেন আগামীর দিনে হেনা সুলতানার মতো স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন।

সিংড়া বাজারের পানপট্টিসংলগ্ন হেনা সুলতানার সেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা রাজধানী লেডিস টেইলার্সে গিয়ে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫ জন মেয়ে দর্জির কাজ করছেন। কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউবা আবার তৈরি পোশাক ইস্ত্রির কাজে ব্যস্ত।

হেনা সুলতানা বলেন, আমার এই দর্জির দোকানে প্রায় ১৫ মেয়ে কাজ করেন। এর মধ্যে ৫-৬ বছর ধরে আমার দোকানে কাজ করা অনেক মেয়ে তাদের বাড়িতে আমার মতো দোকান দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

হেনা আরো বলেন, এক সময় দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেছি। এখন আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। নিজের চেষ্টায় একটা কিছু করতে পেরেছি এটাই অনেক ভালো। এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনি। সহযোগিতা পেলে দোকানের পরিধি আরও বাড়াব। এতে আরও অনেক মেয়ে হাতে-কলমে কাজ শিখে তারাও এক সময় স্বাবলম্বী হতে পারবে।

হেনা সুলতানার স্বামী আব্দুল মান্নান বলেন, স্ত্রীর দোকানের কাজে আমি সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছি। এখান থেকে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। দোকানের আয়ে জমি কিনেছি, জায়গা কিনে বাড়ি করেছি। আল্লাহর রহমতে আমরা অনেক সুখে আছি। সিংড়া উপজেলা সদরে রাজধানী টেইলার্স ছাড়াও স¤প্রতি অনেক বিউটি পার্লার গড়ে উঠেছে। যেখানে অনেক মেয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে একটি আলাদা মার্কেট করার পরিকল্পনা আছে। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই থাকবেন নারী।’

সরকারি সহযোগিতা পেলে অচিরেই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

কেকে/এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  স্বাবলম্বী   হেনা সুলতানা  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দ্বিতীয় বারের মতো ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন-মার্কিন দ্বৈরথ
বয়ান শিল্পাঙ্গনের তৃতীয় নাট্য কর্মশালা ৩০ নভেম্বর থেকে
অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ খাত : উত্তরণের উপায়
প্লট দুর্নীতি : জয়-পুতুলের পাঁচ বছর কারাদণ্ড

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে কবির হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলা
বেনাপোলে বিএনপির উঠান বৈঠক, উন্নয়ন ভাবনা তুলে ধরলেন তৃপ্তি
ধামরাইয়ে সাত অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ১৫ লাখ জরিমানা
বিএনপি যে কথা দেয় সে কথা রাখে : নাসিরুল ইসলাম
বুধবারের আলোচিত ছয় সংবাদ

বেগম রোকেয়া- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close