বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ থাকলেও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় চলছে চরম অনিয়ম। সাপ্তাহিক একদিন (এলাকা ভিত্তিক নির্ধারিত) দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলে সপ্তাহে একদিন পূর্ণ দিবস ও একদিন অর্ধদিবস (বেলা ২টা পর্যন্ত) মার্কেট বন্ধ রাখার কথা। সে অনুযায়ী মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রতি বৃহস্পতিবার সব ধরনের দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকার কথা।
কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মোহাম্মদপুরের অধিকাংশ দোকান, মার্কেট ও শপিং কমপ্লেক্স খোলা রয়েছে। এমনকি রাত ৮টার পরও অনেক দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা যায়। বিশেষ করে কৃষি মার্কেট, তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, টাউনহল, আসাদ এভিনিউ, রিং রোড, লালমাটিয়া, রায়েরবাজার, শিয়া মসজিদ এলাকা, হাউজিং সোসাইটি, বসিলা ও কাটাসুর রোডে দোকান ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নামে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি নেই। ফলে অনেকে নিয়ম ভেঙে দোকান খোলা রাখছেন। এতে কিছু ব্যবসায়ী লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে জ্বালানি সাশ্রয়ের বড় সুযোগ।
কৃষি মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কয়েকটি সার্টার নামানো থাকলেও ভিতরে শতাধিক দোকান খোলা রয়েছে। ফুটপাতের দোকানগুলোও খোলা রাখা হচ্ছে রাত ১০টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ জুন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক সাপ্তাহিক বন্ধের নিয়ম চালু করা হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সেই নির্দেশ এখন অনেকটাই উপেক্ষিত হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে মোহাম্মদপুরে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুধু শ্যামলী মার্কেট, টোকিও স্কয়ার, আল্লাহ করিম মার্কেট ও মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেট বন্ধ থাকে। অন্যদিকে হাজারো দোকানপাট খোলা রাখায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
কেকে/ আরআই