জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেছেন, আসন্ন জকসু নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং। প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে বলেই সহযোগিতা প্রয়োজন সবার।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এর আগে একটি নির্বাচন প্রস্তুত কমিটি করা হয়েছিল, যেখানে আমি আহ্বায়ক ছিলাম। আমরা কিছু কিছু কাজ করছিলাম, প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ভিসি মহোদয় ও সিন্ডিকেটকে ধন্যবাদ। তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছে। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ, প্রথমবার হচ্ছে। এখানে আমাদের ছাত্র, শিক্ষক, স্টেকহোল্ডার যারা আছে, রাজনৈতিক অথবা স্বতন্ত্র যারা প্রতিদ্বন্দীতা করবে সকলের সহযোগিতা চাই। এটা একটা কঠিন কাজ এবং আমাদের হাতে সময় কম। সামনে অনেকগুলো প্রসেস আছে, সেগুলো শেষ করতে হবে। স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে আমরা সব ডেট ঠিক করব।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পাওয়ার পর কয়েকটি মিটিং করেছি। তফসিল কবে গঠন হবে এখন এটা বলতে পারছি না। এখনো আমাদের কোনো অফিস নেই, বসার জায়গা নেই। তফসিল নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সাথে বসবো। যে কয়েকটি বিষয় হবে, কোনটার পর কোনটা হবে। আশাকরি আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে কাজগুলো করব। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে তাদের মতামত নিয়ে আমরা ডেট ও অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করব।
এদিকে, জকসু নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। এছাড়া এতে সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান।
কেকে/ আরআই