বরিশালের বানারীপাড়া থানা স্টেশনের চত্বরে বিভিন্ন গাছে বিকাল হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসে বসে। এ সময় পাখির কিচিরমিচির আর কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। শুরু হয় পাখিদের কলকাকলি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পাখিদের আনাগোনা।
পাখির ঝাঁক আর কিচিরমিচির শব্দে থানার স্টাফ, থানা এলাকা থেকে চলাচলকারী পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মনে প্রশান্তি নিয়ে আসা-যাওয়া করেন গন্তব্যে। সন্ধ্যা যত ঘনিয়ে আসে, ততই পাখির আনাগোনা বাড়তে থাকে।
যানবাহনের শব্দে ঘরমুখী মানুষ যখন ক্লান্ত, ঠিক তখনই ঝাঁক ঝাঁক পাখির এদিক-ওদিক ওড়াউড়ি দেখে থেমে যান পথচারীরা। শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখিগুলোর এমন দুষ্টুমির দৃশ্য এক পলক দেখার লোভ সামলাতে পারেন না তারা। এ সময় ক্লান্ত মুখে তাকিয়ে পাখির ডাক শুনে আনন্দ পান তারা।
সন্ধ্যা নামলেই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে থানা এলাকাটি। পাখিদের এমন দুষ্টুমিতে একটুও অতিষ্ঠ হন না গাছগুলোর নিচে বসা দোকানিরা। উল্টো কেউ যেন পাখির কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর থাকে তাদের।
পাখিগুলো দেখে থানা চত্বরে আসা মানুষজন, অফিসের স্টাফরা অনেক আনন্দ উপভোগ করেন। পাখিদেরকে কেউ যেন বিরক্ত না করে, সেজন্য আশেপাশের দোকানদারসহ থানার গার্ডদেরকে বলে রাখা হয়েছে।
থানা এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আবু নাঈম বলেন, ‘সারাদিন যখন পাখিগুলো থাকে না, তখন মনে হয় কী যেন নেই। বিকালে যখন পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনি, তখন মন প্রশান্ত হয়ে যায়। মাঝেমাঝে আমার একমাত্র সন্তানকে (ছেলে) পাখি দেখতে নিয়ে আসি।’
স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয় সাহা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে পাখিগুলো দেখছি। প্রতিদিন বিকালে বানারীপাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন গাছ ও তারে পাখিগুলো বসে। তাদের কিচিরমিচির শব্দে মনটা ভরে যায়। অনেকে পাখি দেখে এখানে দাঁড়িয়ে যান।’
পাখি দেখতে আসা জয় শীল নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘বানারীপাড়া বন্দর বাজারের প্রাণকেন্দ্র থানার পাশে হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন পাখি দেখতে অনেকে এখানে আসে। তাদের কিচিরমিচির শব্দে এলাকাটি মুখর হয়ে ওঠে।’
কেকে/এমএ