বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আট নম্বর উদয়কাঠী ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড তেতলা ফকির বাড়ি জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে কাঠের তৈরি সাঁকো ভেঙেচুরে নাজুক অবস্থায় আছে। ফলে, জনসাধারণের চলাচলে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। এই রাস্তা ও পুলটি দিয়ে অসংখ্য মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে যান। অসংখ্য শিশু-বৃদ্ধ-ছাত্রছাত্রী এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে থাকেন।
মাত্র গাছের দুইটি বল্লি দিয়ে এই সাঁকোতে ওঠানামা করতে হয় এলাকাবাসীর। কোন ধরনের যানবাহন তো দূরের কথা— মোটরসাইকেল ও চলাচল করতে পারে না এই সাঁকো দিয়ে। যার কারণে অসুস্থ রোগী হাসপাতালে নেওয়াসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই এলাকার মানুষের।
প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ, বিশেষ করে মহিলা ও কর্মজীবী মানুষ জীবিকার তাগিদে এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম এই ব্রীজটি। যাতায়াতের জন্য এই পুলটি অনেক বিপজ্জনক। ভরা মৌসুমে জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায় এই পুলটি ফলে এলাকার লোকজনের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলটির কাঠের তক্তাগুলো ভেঙে ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে গেছে। পূর্ব পাশের প্রায় ২০ ফুট দেবে গিয়ে জয়েন্ট সরে গেছে। লোহার অ্যাঙ্গেল মরিচায় ক্ষয়ে গেছে, রেলিং ভেঙে পড়েছে। এমনকি জোয়ারের সময় ব্রীজের একাংশ পানির নিচে বিলীন হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দ্রুত এ সাঁকোটির পুনর্নির্মাণ না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত ও জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এ বছর তুলনামূলক অত্যাধিক বৃষ্টি হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু সংখ্যক কাঠের পুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; যা জন-সাধারণের চলাচলে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে।’
জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কেকে/ এমএ