মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী রীমা রানী সরকারকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত রীমার মাসিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিনে শ্রীমঙ্গল শহরের আরকে মিশন রোড দুর্গা মন্দিরে অঞ্জলী দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রীমা রানী। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মতিলাল বিশ্বাস কমলগঞ্জ উপজেলার কাঠালকান্দি গ্রামের বদরুল আলমসহ (২৫) তিনজনের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
অপহরণের পর থেকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। গত ৮ ও ১১ অক্টোবর দুই আসামী বদরুল আলম (২৫) ও শহিদ মিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের কাছ ভিকটিম সম্পর্কে থেকে তথ্য না পাওয়ায় তদন্ত আরও জোরদার করা হয়। পরবর্তী তদন্তে ভিকটিমের খালা প্রিয়াংকা সরকারের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তার কল রেকর্ড বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানতে পারে, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকায় শিল্পী সরকার ওরফে শিল্পী বেগম ও তার স্বামী মোবারক মিয়া ভিকটিমকে তাদের ভাড়া বাসায় আটক করে রেখেছে।
তদন্তে আরও প্রকাশ পায়, শিল্পী সরকার ভিকটিমের আপন খালা। প্রায় দুই বছর আগে তিনি মোবারক মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে ধর্মান্তরিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঘটনার দিন তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে অঞ্জলী শেষে ফেরার পথে রীমাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটের ধরাধরপুর এলাকায় নিয়ে যায় এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। এমনকি ঘটনার পর ভিকটিমের মা ভিকটিমের বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পী বেগম অস্বীকার করেন। শুক্রবার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অভিযানে রীমা রানীকে উদ্ধার এবং শিল্পী সরকার ও তার স্বামী মোবারক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
কেকে/এমএ