চোর অপবাদ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড সদস্য সৈয়দ মেহেদী সুলভের বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মীসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা অভিযোগ ওঠেছে। অন্য দিকে, সৈয়দ মেহেদী সুলভের অভিযোগ- চোর অপবাদের প্রতিবাদ করায় তাকে ও তার ভাইকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টাবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার নাঠৈ মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের ভেতরে ও প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় বিএনপির কর্মী সৈয়দ আব্দুল আলীম (৬২), তার স্ত্রী লিয়া (৫১) ও ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ তাওসীন ইসলামকে (১৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন লিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী সৈয়দ সালাউদ্দিনের কাছ থেকে খরিদকৃত গাছ গত ১৫ অক্টোবর সকাল থেকে ক্রেতা শ্রমিক দিয়ে কাটতে থাকে। মালিক দাবি করে বিকালে সৈয়দ মেহেদী সুলভ কাটা গাছের টুকরা নিতে বাঁধা দিলে শ্রমিকরা গাছ রেখে চলে যায়। সুলভসহ ৫-৭ জন শুক্রবার ভোররাতে ওই গাছের টুকরোর (গুড়ি) অধিকাংশ চুরি করে নিয়ে যায়।’
‘এ ঘটনা আমি ও আমার ছেলে তাওসীন দেখে ফেলি। গাছ চোর বলায় সুলভ আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল করেন। এর জের ধরে সুলভের নেতৃত্বে ৩-৪ জন লাঠিসোঁটা ও ধারাল নিয়ে শুক্রবার বাদ এশা আমাদের বাড়ির পাশের মসজিদের ভেতর হামলা চালিয়ে আমার স্বামী আলীমকে আহত করে।’
লিয়া আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বামীকে উদ্ধারের জন্য আমি ও আমার ছেলে মসজিদের প্রাঙ্গণে গেলে আমাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় আমাদের তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করেন।’
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চাঁদশী ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য সৈয়দ মেহেদী সুলভ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চোর অপবাদের প্রতিবাদ করায় হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার ভাই সৈয়দ শান্তকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু করা প্রয়োজন, তাই করেছি। আওয়ামী লীগের কাউকে পাইলেই পুলিশে গ্রেফতার করে, তাই আমি আত্মগোপনে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার পৈতৃক জমির গাছ কাটতে আমি বাঁধা দিয়ে কাটা গাছ নিতে দেইনি।’
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছানোর পূর্বেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এমএ