বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ভোট ডাকাতের যে সমস্থ এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলো তারা টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলার মানুষের দুঃখ দূর্দশার কথা মনে রাখে নাই। মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে তাতে তাদের কিছু যায় আসে নাই, তাদের ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করার জন্য নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছে এবং সেই অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বালু মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আমি ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতারা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও আমি যখন টঙ্গীবাড়ী আসি তখন দেখি, সরকারি রাস্তা কেটে বালু মাফিয়ারা নদী থেকে বালু তোলার জন্য পাইপ বসিয়েছে। ওই মুহুর্তেই আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহন করে। আমার জানামতে এখন টঙ্গীবাড়ীতে বালু তোলার যে অপতৎপরতা ছিলো তা এখন বন্ধ আছে। ভবিষ্যতে যদি কেউ সরকারি রাস্তা কেটে অবৈধ ভাবে পাইপ লাগানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমার এমপি হওয়া লাগবেনা! এখনই যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছি তেমনি ভবিষ্যতেও তাদেরকে টাইট দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার আছে। সুতরাং বালু মাফিয়াদের কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টঙ্গীবাড়ী বাজারে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, লৌহজং উপজেলার মত টঙ্গীবাড়ীতেও কিছু মাদকের কারবার আছে। এই মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি এবং ঢাকায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো যেনো এখানকার মাদক ব্যবসায়ী, মাদক গ্রহনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই কারনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারণ আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে গেলে আমাদের ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকবেনা। সেজন্য যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে দেশকে মাদকমুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পূর্নাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি করা দরকার, রাষ্ট্রের কি কি সংস্কার করা দরকার সেই সংস্কারের বিষয়গুলো আমরা জনগনের মধ্যে প্রচার করে গেলাম।
কেকে/ আরআই